সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন

পদ্মা সেতুতে বসলো ১৮তম স্প্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর ১৮তম স্প্যান। বুধবার দুপুর ১ টা ৩ মিনিটে সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটির ওপর ৩-ই স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২ হাজার ৭০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সেতুর ১৭তম স্প্যানটি ২২ ও ২৩ নং খুঁটির ওপর সফলভাবে বসানো হয়। ১৬তম স্প্যান বাসানোর মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে ১৭ তম এবং ১৭তম স্প্যান বাসানোর মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে বসানো হলো ১৮ তম এই স্প্যানটি।

এর আগে ১৬তম স্প্যানটি গত ১৯ নভেম্বর ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটিতে বসেছিল। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, এখন এভাবেই ঘন ঘন স্প্যান বসবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাওয়ার কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড-১ থেকে ৩৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে করে নির্দিষ্ট স্থানে স্প্যানটি আনা হয়। পরবর্তীতে দুপুরে ১ টা ৩ মিনিটে ১৭ ও ১৮ নম্বরে পিয়ারের উপর স্থায়ীভাবে স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। এরপর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের স্প্যানের একটি অংশের সাথে ঝালাই করা হবে। ১৭ তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিনের মাথায় বসানো হলো ১৮ তম স্প্যানটি।

তিনি আরও জানান, ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ২৭০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা আরও জানান, পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জিং সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন দ্রুতই এগুবে পদ্মা সেতুর কাজ কাজ। প্রতিমাসের কম-বেশি স্প্যান বসবে। চীন থেকে দেশে আসা ৩৩ টি স্প্যানের মধ্যে ১৭ টি ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে। এখনও কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত আছে পাঁচটি ও বাকি আছে ১১ টি স্প্যান। নভেম্বরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইটি স্প্যান বসানো হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসেই সেতুর ৪-সি ও ৩-এফ স্প্যানসহ মোট তিনটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাবসহ অন্যান্য কাজও সিডিউল অনুযায়ী চলছে। অর্থাৎ একদিকে যেমন স্প্যান বসছে পিলারের উপর। একই সঙ্গে ওই সকল পিলারের উপর রেল লাইন বসানো ও উপরিভাগে রোড বা সড়ক পথ নির্মাণের কাজও চলছে সমান তালে। তাই বলা যায় পদ্মা সেতুর কাজ এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২১ সালের জুন মাসেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে ঘোষণা দিয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্ট্রিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। দ্বিতল এ সেতুর উপরিভাগ দিয়ে চলবে গাড়ি আর নীচ দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।

নগরকন্ঠ.কম/এআর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com