শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ হিসাবে, এবার নন-রেসিডেন্সিয়াল ইনভেস্টরদেরও (প্রবাসী বাংলাদেশি বা বিদেশি নাগরিক) বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দেশীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এই শ্রেণির ইনভেস্টরদের জমানো বা অলস পড়ে থাকা অর্থ তারা ইচ্ছে করলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ অর্থে নন-রেসিডেন্সিয়াল ইনভেস্টররা উন্মুক্ত বা বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডও কেনাবেচা করতে পারবেন।
এ লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে পুঁজি বিনিয়োগের নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নীতিমালায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে দেওয়া আদেশ কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে নীতিমালা শিথিলের বিষয়টি ব্যাংকগুলোর বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশি গ্রাহকদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পরই কেবল এ ধরনের তহবিল পরিচালনা করা যাবে। অপরদিকে বে-মেয়াদি এসব ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করার ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে মুনাফা অর্জিত হলে এর বিপরীতে করের অর্থ আদায় করে লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দেওয়া যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বিদেশি ও প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য আছে বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট। ওই মুদ্রাকে টাকায় স্থানান্তর করতে রয়েছে নিটা অ্যাকাউন্ট। বিদেশি ও প্রবাসীদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধি বা আত্মীয়স্ব-জনরাও ওই হিসাব খুলতে বা পরিচালনা করতে পারেন। তাদের নামে খোলা নিটা অ্যাকাউন্টে লেনদেন শেষে কিছু অর্থ জমা থাকে। ওই অর্থ ব্যাংক হিসাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। এগুলোকে সহজ শর্তে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতেই নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে শেয়ারবাজারে দুই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। মেয়াদি এবং বে-মেয়াদি বা মেয়াদবিহীন। ওই অর্থ দিয়েই মেয়াদবিহীন মিউচুয়াল ফান্ড কেনা যাবে।
নগরকন্ঠ.কম/এআর