বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন
মাদারীপুর সদরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন দত্ত কেন্দুয়া গ্রামের বাবুল মজুমদার, মো. কুদ্দুস, মাসুদ, রনজিত, শাজাহান মিয়া, রফিক ও মো. কায়সার।
পুলিশ জানায়, ২৮ নভেম্বর কেন্দুয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শাহ মো. রায়হান কবীর জয়ী হন। পরাজয়ের পর সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিন্দ্বন্দ্বী প্রার্থী সাগর মিয়ার সমর্থকরা রায়হানের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট চালান ও আগুন দেন। এরপর দুই পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হলে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন।
আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গুলিবিদ্ধদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা কালের কণ্ঠকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামের করিম বাজার এলাকায় সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে জয়ী হাসিয়া বেগমের এক সমর্থকের বাড়িতে পরাজিত সুফিয়া বেগমের লোকজনের হামলার অভিযোগ ওঠে।
হাসিয়ার সমর্থক আনোয়ার মাতুব্বরের অভিযোগ, সুফিয়ার সমর্থকরা তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছেন। হামলায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৫ সদস্য।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। কোথাও সংঘর্ষের খবর পেলে দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। কোনোভাবেই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।