বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
মানিলন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে বিদেশ ভ্রমণে চার মাসের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এ মামলায় জামিনে থাকা হারুনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালতের জিম্মায় থাকা পাসপোর্ট নিয়ে হারুন-অর-রশিদ চার মাসের জন্য বিদেশে যেতে পারবেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
২০২২ সালের ১২ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেখান থেকে আত্মসাৎ করা হয় ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এরপর ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। এরমধ্যে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ট্রি-প্ল্যানটেশন মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মোট আসামি ৬৫ জন হলেও রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন।