ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক বিজনেস ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের (বিবিএস) রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরপিডিসি) এবং ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগে “উদ্যমী আমি” শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের কোহর্ট-৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে ২৬ জন নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ তার বক্তব্যে উদ্যমী আমি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের অব্যাহত সহায়তার জন্য ব্র্যাক বিজনেস স্কুল, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রাম ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তার বিষয়ে গুরুত্বরোপ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নারীদের আর্থিক সংস্থান আরো সহজলভ্য করে তাদের ব্যবসায় সহায়তা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের এসএমই ব্যাংকিং ডিভিশনের হেড অফ ইমার্জিং করপোরেটস ইন্দ্রজিৎ সুর নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং বিশেষভাবে নারীদের জন্য নতুন উদ্যোগ এবং আর্থিক পণ্যসমূহে ক্রমাগত উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।

ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ডিন ড. লরা রেইখেনবাক জনস্বাস্থ্য নিয়ে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং সমাজে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

উদ্যমী আমি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামসহ ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্টার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে আশা সকল অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট ডিন এবং ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ মুজিবুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেক উন্নতি করলেও অর্থনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নারীরা এখনো বেশ পিছিয়ে রয়েছে। উদ্যমী আমি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে ওঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থনীতিতেও অবদান রেখে চলেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপনের একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পান নুরুন নাহার। প্রথম রানার আপ হন দিল আফরোজ নাহার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হন মার্জিয়া সুলতানা।