শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
নগরীর বৃহত্তম ওষুধের মার্কেট হাজারি গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিন পাওয়া গেছে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও কম তাপমাত্রায় এসব ইনসুলিন ফেলা রাখা হয়। গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযানে নষ্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিনগুলো জব্দ করা হয়। তিন প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, পাশাপাশি সতর্ক করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত আজাদীকে বলেন, হাজারী গলির ছবিলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্যাসিফিক ট্রেডার্স নামের একটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পড়ে আছে ৩ লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন। প্রতিটি ইনসুলিনের গায়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও কক্ষ তাপমাত্রায় ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফলে এগুলোর কার্যকারিতা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মূলত বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা সঠিক তাপমাত্রায় ইনসুলিনগুলো সংরক্ষণ না করে পাইকারি দরে বিক্রি করেন। এসব কারণে দোকান মালিক পল্লব বিশ্বাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, এরপর একই অভিযোগে নিরুপমা ড্রাগ হাউজ এবং রাজীব ড্রাগ হাউজে অভিযান চালাই। অভিযানে দুটি দোকান থেকে আনুমানিক আরও ৬ লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি রাজীব ড্রাগ হাউজে প্রচুর পরিমাণ টিটেনাস’এর টিকা পাওয়া যায়। এসবের গায়েও ২–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা থাকলেও ফেলে রাখা হয়েছে সাধারণ তাপমাত্রায়। এ সকল অভিযোগে দুই দোকান মালিকের প্রত্যেককে ৩০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
প্রতীক দত্ত বলেন, সঠিক তাপমাত্রায় ইনসুলিন সংরক্ষণ না করায় তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, নির্দিষ্ট কয়েকটি ফার্মেসির ইনসুলিন কাজ করে না। অধিকাংশ ইনসুলিন লাগেজে করে বিদেশ থেকে আসা। এগুলো অননুমোদিত। বাইরে থেকে আনার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। ফলে সেগুলোর কার্যকারিতা তখনই শেষ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার সুলতানুল আরেফীন এবং কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক মো. মেহেদী হাছান।