শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
নাইজেরিয়ার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। নারী ও শিশুসহ অপহৃত হয়েছে আরও বহু মানুষ। অধিবাসীরা একথা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি নাইজেরিয়ার নিরাপত্তাহীনতার অবসান ঘটাবেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার এক বছর পর উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র দলগুলোর হামলা, ডাকাতি নিয়মিত হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের থামাতে পারছেনা বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
ইয়ারগোজ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হাসান ইয়াউ জানান, রোববার রাতে মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েক ডজন বন্দুকধারী কাতসিনা রাজ্যের কানকারা এলাকার ইয়ারগোজে হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি লোকজনের ওপর গুলি চালায় এবং আমার ছোট ভাইসহ আমাদের ৫০ জনেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নেয়, ফোনে রয়টার্সকে বলেন তিনি। হাসান ইয়াউ আরও জানান, অসংখ্য গ্রামবাসীকে অপহরণ করা হয়েছে এবং সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহি ইউনুসা কঙ্কারা বলেন, তিনি অল্পের জন্য হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। হামলাটি সোমবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তিনি বলেন, আমাদের শহর মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িই হামলার শিকার হয়েছে। কঙ্কারা আরও বলেন, কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে তা নির্ধারণের জন্য আমরা মানুষের সংখ্যা গণনা করছি। আজ সকালে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কাতসিনা পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের পল্লী অঞ্চলগুলোতে হামলা এবং মক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা অহরহই ঘটছে। তাছাড়া, দেশটির উত্তর–মধ্যাঞ্চলে ১৫ বছর ধরে চলা ইসলামপন্থি বিদ্রোহ এবং কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঘটে।