বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : ঢাকা সফর করছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জুস্টের। তিনদিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় আসেন তিনি। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের আমন্ত্রণে তিনি এই সফর করছেন। ব্যতিক্রমী এই সফরে শনিবার ঢাকায় এসেই লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনে যান তিনি। রবিবার তিনি জাতীয় সংসদ ভবন ঘুরে দেখেন এবং এর নান্দনিক নকশার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এদিন তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই সফরে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এই দক্ষ কূটনীতিক। সাম্প্রতিক সময়ে নয়াদিল্লিভিত্তিক কোনো মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর বলে জানা যায়। রাষ্ট্রদূত জুস্টের আঞ্চলিক সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করবেন। তার সফরসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের কূটনীতিকদের সঙ্গেও তার আলোচনা হতে পারে সূত্র জানায়।
রাষ্ট্রদূত জুস্টের সফরকালে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ ও রোহিঙ্গা সংকট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও ও দাতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজিতে বাংলাদেশ ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হিসেবে জুস্টের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে মার্কিন নীতি বাস্তবায়ন করছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারতে আসার পর থেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ইস্যুতে তিনি গুরু দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি ভারত ছাড়াও বাংলাদেশসহ অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও নিয়মিত মার্কিন নীতির খোঁজ-খবর রাখেন বলে সূত্র জানায়।
এদিকে বাসস জানায়, ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কেনেথ জুস্টের গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংলাপের মাধ্যমে দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে খুবই আন্তরিক। সাক্ষাৎকালে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা, বাংলাদেশের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি এ সময় উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত জুস্টের বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এসময় তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নগরকন্ঠ.কম/এআর