শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন
নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার, নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধেও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বেগম রোকেয়া পদক ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা অর্জনসহ সবক্ষেত্রে নারীদের অনেক অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্ধেক নারীকে পিছিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না।
নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবিস্মরণীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৬ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে আসছে সরকার। বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে এই পদক দেয়া হয়। বেগম রোকেয়া পদক নীতিমালা-২০১৭ অনুসারে নারীদের জন্য এ পদকটি দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার।
বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে সমাজসেবায় বিভিন্ন অবদানের জন্য এ বছর পাঁচ জন নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হয়। নারী শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কর্নেল (ডা.) নাজমা বেগম, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মঞ্জুলিকা চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফি ও নারী অধিকারে অবদানের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্ত বেগম মুশতারী শফী বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে। ৮৩ বছর বয়সে আমি পদক পেলাম, আমি সত্যিই খুবই আনন্দিত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নারী জাগরণ ও শিক্ষা নিয়ে সচেতন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উদ্যোগে নারীর অবস্থানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সংসদে, চাকরিতে, উচ্চ আদালতসহ সচিব পদে নারীদের সুযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আ.লীগ সরকার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের জন্য বেশি সুযোগ নিশ্চিত করেছে। দেশের অবহেলিত নারীর জন্য লিগ্যাল এইড সুবিধা রাখা হয়েছে। উপবৃত্তির ব্যবস্থা নারীদের শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছে।
কর্মজীবী নারীদের জন্য বর্তমানে জেলা উপজেলা পর্যায়েও হোস্টেল সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীরা সাবলম্বী হয়ে উঠলে দেশও হবে দারিদ্রমুক্ত।