শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লার কৃষকরা বোরো চাষে ব্যস্ত

বোরো ধান লাগানো নিয়ে কুমিল্লার গ্রামে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক কৃষানিদের। কেউ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন। কেউ পরিষ্কার করেছেন। কেউ জমিতে ধানের চারা পৌঁছে দিচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে কুমিল্লার ধান চাষের এলাকাগুলোতে।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে, এবার কুমিল্লার ১৭উপজেলায় এক লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ হবে এক লক্ষ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করা হবে ৩৪হাজার হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের ধান চাষ হবে ৩০ হেক্টর জমিতে।

লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াশা ঢাকা ভোর। দৃষ্টি আটকে যায় কয়েক হাত সামনের কুয়াশায়। বাড়ি সংলগ্ন ভিটায় (ছোট আকারের উঁচু জমি) ধানের চারা তুলছেন কৃষানি ও পরিবারের শিশু-কিশোররা। পুরুষরা ঝুড়িতে ভরে মাথায় তুলে ধানের চারা নিয়ে যাচ্ছেন মাঠে। জমিতে শ্রমিকরা সার ছিটাচ্ছেন। কেউ চাষ দেয়া জমির ঘাস পরিষ্কার করছেন। ঘাষ পরিষ্কার শেষে সারিতে লাগানো হচ্ছে ধানের চারা। হালকা হিমেল বাতাসে দুলছে সদ্য লাগানো ধানের চারা। দোল খাওয়া ধানের চারায় কৃষক দেখছেন আগামীর রঙিন স্বপ্ন।

লাকসামের মনপাল গ্রামের মঞ্জুমা বেগম জানান, আমাদের নিচু এলাকা। মাঠে এক ফসল হয়। এই ফসল দিয়ে পরিবারের সারা বছরের খাবারের যোগান দিতে হয়। তাই বোরো মৌসুম এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সময় মতো রান্না,খাবারের কথা ভুলে যেতে হয়। শুকনো খাবার চিড়া মুড়ি খেয়ে ভোরে কাজে নামতে হয়। নারীরা বেশিরভাগ সময়ে ধানের চারা তোলেন। পরিবারের পুরুষরা শ্রমিকদের সাহায্য করতে মাঠে চলে যান।

কৃষক আলী আকবর বলেন, বীজ, সার ও শ্রমিক সব কিছুর দাম বেশি। সার ও বীজের দাম সহনীয় হলে ধান চাষ করে ভালো লাভ পাওয়া যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) শহীদুল হক বলেন, এখন বোরো লাগাতে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক-কৃষানিদের। কোনো সমস্যা না হলে হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে ৪.১ মেট্রিক টন, উচ্চ ফলনশীল ৩.৯ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাতের ধান প্রতি হেক্টরে ২ মেট্রিক টন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com