শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
কয়রা উপজেলা জলবায়ু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মণ্ডল বলেন, ‘উপজেলার গোলখালি, আংটিহারা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙা, মেদেরচর, চরামুখা, হরিহরপুর, গাববুনি, কাটকাটা, গাজীপাড়া, কাশিরহাট, হাজতখালি, ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রা, ঘাটাখালি, ২ নম্বর কয়রা, গোবরা, ঘাটাখালী, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, লোকা, দশালিয়া, মঠবাড়ি, নয়ানি, শিকারিবাড়ীর ওয়াপদা বাঁধের ৪০ কিলোমিটারের বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বেড়িবাঁধ নিচু ও চিকন হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমের আগে এসব স্থানে কাজ করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান জি এম শামছুর রহমান বলেন, ‘জোড়শিং বাজারের পাউবোর বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে। সিসি ব্লকগুলো নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সামনে বর্ষা মৌসুম এলে ভাঙন তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত ১০ বছর যাবত্ শুনছি নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সভা-সেমিনারে বেড়িবাঁধ নিয়ে বহু বার কথা বলেছি। বারবার নদীভাঙনের কবলে পড়ে অনেক মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।’ স্থায়ী বসবাসের জন্য তিনি সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানান। উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, ‘আম্ফানে বাঁধ ভেঙে গিয়ে কাশিরহাট, গাজীপাড়া, রত্নারঘেরি ও হাজতখালি এলাকার ২০ একরের বেশি ফসলের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখানকার অর্ধশত পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতভিটা।’
পাউবোর সাতক্ষীরা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ সরকার বলেন, ‘কয়রার জোড়শিং বাজারের পাউবোর বেড়িবাঁধে ভাঙনের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত কয়রার বাঁধ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইতিমধ্যে মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। বরাদ্দসাপেক্ষে টেকসই বাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু করা হবে।’