বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

তাড়াশে অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ

সরেজমিনে দেখা গেছে, আড়ঙ্গাইল-কুমাল্লু গ্রামীণ সড়কের কুমাল্লু গ্রাম এলাকার একটি ব্রিজের চারপাশে পাকা শেড নির্মাণ করে মুরগির খামার করা হয়েছে। কাটাগাড়ি-তারাটিয়া গ্রামীণ সড়কের টাগরা গ্রাম এলাকায় ব্রিজের মুখে ইটের প্রাচীর দিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। মথুরাপুর-ভায়াট গ্রামীণ সড়কের ভায়াট মোড় এলাকায় ব্রিজের মুখ বন্ধ করে সেমি পাকা বসতঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কাস্তা-গুড়মা গ্রামীণ সড়কের কাস্তা গ্রাম এলাকায় ব্রিজের চারপাশে পাড় বেধে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

এছাড়াও তাড়াশ-বারুহাস আঞ্চলিক সড়কের কহিত ও বারুহাস গ্রাম এলাকায় ২টি ব্রিজ, তাড়াশ-কাটাগাড়ি আঞ্চলিক সড়কের টেলিফোন অফিস মোড় এলাকায় ১টি ব্রিজ, ঐ সড়কেরই কাস্তা বাজার এলাকায় আরও ২টি ব্রিজ, বায়ালিয়া-নওগাঁ গ্রামীণ সড়কের ২টি ব্রিজ, মঙ্গলবাড়িয়া-রামকৃষ্ণপুর গ্রামীণ সড়কের ৩টি ব্রিজ ও খালকুলা-নওগাঁ সড়কের ৫টি কালভার্ট একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুরূপ অবস্থা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বেশিরভাগ রাস্তার ব্রিজ-কালভার্টের।

ভুক্তভোগী কৃষ মনছুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, ছোহরাব আলী, শামসুল হক, ছাবেদ আলী, জুরান আলী, মজিবর মল্লিক, রেজাউল করিম, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব, শাহাদত হোসেনসহ অনেকে জানিয়েছেন, কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল হাজারো কৃষকের জীবন জীবিকার কথা না ভেবে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে সুবিধাভোগ করছেন। এ কারণে তাড়াশ সদর ইউনিয়নের মাধবপুর, মথুরাপুর, চক গোপিনাথপুর, বিদিমাগুড়া ও বোয়ালিয়া এলাকায় এখনও দুই হাজার বিঘা জমিতে বন্যার পানি আটকে আছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় প্রতিবছরই বন্যার পানি নামতে দেরি হচ্ছে। কোনো কোনো মাঠে এখনও বন্যার পানি আটকেই রয়েছে। সর্বোপরি জমিতে জো না পেয়ে ২ হাজার ৩ শো হেক্টর জমিতে রবি শস্য আবাদ করতে পারেননি কৃষক।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ইতোমধ্যে বেশকিছু মুখ বন্ধ ব্রিজ চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ব্রিজ-কালভার্টগুলো দিয়ে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com