বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

‘ঘটনা তৃতীয় পক্ষই ঘটিয়েছে, ইকবাল শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন’

কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘিরপারের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন ‘প্রধান অভিযুক্ত’ ইকবাল হোসেন (৩২)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে আনার আধাঘণ্টা পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

ঘটনার দিনই পূজামণ্ডপে যে কোরআন রেখে এসেছেন তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। পরদিন ১৪ অক্টোবর রাতে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁর নাম প্রকাশিত হলে তখন থেকেই আলোচনায় আসছে ‘তৃতীয় পক্ষের’ বিষয়টি। ইকবালের পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি—এমনকি পুলিশও ধারণা করছে অন্য কোনো পক্ষ তাঁকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটি জানতে তাঁরা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও মনে করছেন, এ ঘটনাটি তৃতীয় কোনো পক্ষই ঘটিয়েছে। ইকবাল শুধু তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন।

কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি ঘটনার শুরু থেকেই বলে আসছি, যারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পেছনে তৃতীয় পক্ষের পরিকল্পনা রয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com