সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। বাড়ি ফিরতে রাজধানীর প্রবেশ পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পরতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মূলত মহা সড়কের পাশে পশুর হাটের জন্য যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে ঈদ যাত্রা শুরু হলেও এখনও ভিড় জমেনি বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে।
আজ রোববার সরেজমিন সায়দাবাদ ও গাবতলি বাস টার্মিনালে দেখা যায়, এখনও সেভাবে ব্যস্ততা বাড়েনি ঘরমুখো মানুষের। গাবতলি বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় না থাকলেও সায়দাবাদ টার্মিনালে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। এর প্রভাবে সায়দাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী পার হতে দীর্ঘ যানজটে পরতে দেখা যায় যাত্রীদের। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়কের শনির আখড়ায় গরুর হাটের কারণে দীর্ঘ যানজটে পরতে দেখা যায় যাত্রীদের।
অন্যদিকে এক সময়ের ব্যস্ততম নৌ বন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদ যাত্রার ভিড় নেই বললেই চলে। যদিও গত বছর থেকে পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকে অনেক যাত্রী কমতে থাকে এই টার্মিনালে।
একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. যুবরাজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার মজা অন্যরকম। ঈদ যাত্রার ভিড়ের থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকেই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। তবে ভাড়া আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন এই যাত্রী।
বরিশাল যাওয়ার জন্য সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছেন আরেক যাত্রী মো. জুয়েল। তিনি জানান, আগে লঞ্চ দিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হতো। পদ্মা সেতু চালু হবার পর এখন বাস দিয়েই গ্রামের বাড়ি যাওয়া হচ্ছে। আর ক’দির পর ঈদ যাত্রার ভিড় বাড়বে। তাই আগেই পরিবার নিয়ে রওনা দিয়েছেন।
সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের এক কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতা মো. রাকিব দেশ রূপান্তরকে বলেন, এই টার্মিনালে পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক যাত্রী আছে যারা আগে লঞ্চ দিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আমাদের এই টার্মিনালে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তবে অন্য রুটের যাত্রীর চাপ এখনও বাড়েনি।
আরেক টিকিট বিক্রেতা নাহিদ হোসেন বলেন, ঈদ যাত্রার ভিড় এখনও বাড়েনি। দুই/এক দিনের মধ্যে ভিড় বাড়বে। এখন হাঁকডাক দিয়েও সেভাবে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, একদিক থেকে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে অন্যদিক থেকে পশুর হাটের গাড়ি আসছে। দুই পাশেই গাড়ির চাপ রয়েছে। অন্যদিকে মহা সড়কের পাশে পশুর হাট থাকায় তীব্র যানজট দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া গত ঈদ থেকে এই ঈদে বেশি চ্যালেঞ্জ। এই ঈদে যাত্রীর সংখ্যা আগের থেকে বাড়বে। তাই যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে আরও বেশি কৌশলী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ যাত্রার নামে এখনও কিছু কিছু জায়গার ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। আগের থেকে বেশি ভাড়া রাখা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সরকারের কঠোর ভাবে নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।