শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপনজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক) দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা।
কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই গণপরিবহণে, ব্যক্তিগত গাড়িতে ও মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
রোববার (২ জুলাই) সরেজমিনে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর বাস টার্মিনালে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাসসহ নানা যানবাহনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরছে মানুষ। তবে মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও যানজট নেই। এদিন ঢাকা থেকে অনেককে গ্রামের বাড়ি আসতেও দেখা যায়।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির শুরু থেকে ঈদে পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ তদারকি থাকছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে যেন ভোগান্তিতে পরতে না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের।
এবার কোরবানির ঈদে সরকারি ছুটি ছিল চার দিন। গত ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটি এবং শনিবার (১ জুলাই) সাপ্তাহিক বন্ধ শেষে আজ রোববার (২ জুলাই) খুলবে সরকারি অফিসগুলো। তবে, বেসরকারি অফিসগুলো শনিবার খোলা ছিল। এ কারণে গত শুক্রবার (৩০ জুন) থেকে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবীরা। এছাড়া, শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীরাও জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর জন্যই এই ঈদে রাজধানীতে বসবাসরত শিবচরের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে কুরবানি দিয়েছেন। অনেকেই গ্রামে কুরবানি দিয়ে দুপুরের আগে মাংস নিয়ে ঢাকার বাসায় রেখে এসে বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছে। পদ্মা সেতু যোগাযোগের এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। পদ্মা পার হবার ভোগান্তি না থাকায় ঈদের আগে থেকে আত্মীয়-স্বজনেরাও বাড়িতে আসছেন-যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক বলে জানা গেছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা রেজাউল মুন্সি। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আজ থেকে অফিস খোলা। যার জন্য ঢাকায় যাচ্ছি। তবে এবার অন্যবারের মতো তেমনটা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।’
খুলনা থেকে ঢাকাগামী বাসের চালক লিটন বেপারি যায়যায়দিনকে বলেন, এবারে পথে তেমন যানজটে পড়িনি।
এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহনের অপেক্ষায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা ঢাকার যাত্রী তৌহিদুল জানান, বাস পাচ্ছেন না তিনি। পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা চাচ্ছে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম যায়যায়দিনকে জানান, ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে সাধারণ মানুষ। গাড়ির চাপ থাকলেও এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হাইওয়ে পুলিশের টিম নিয়মিত মহাসড়কে টহল দিচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।