রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩১ অপরাহ্ন
সাহেল নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো। গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ চুক্তিতে উপনীত হয় তারা।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, জোট গড়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ ও বহিরাগত আগ্রাসনের ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে দেশগুলো।
কয়েক বছর ধরেই দেশ তিনটি আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এছাড়া সামরিক শাসিত হওয়ায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কও অনেকাংশেই সীমিত।
সর্বশেষ নাইজারে গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। যা দেশটির সঙ্গে পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও রয়েছে একঘরে। এক্ষেত্রে মালি ও বুরকিনা ফাসো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সাহেল চুক্তি অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর যেকোনো আক্রমণ অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া চুক্তিতে থাকা এক দেশ অন্য দেশকে সশস্ত্র বাহিনী দিয়েও সাহয্য করবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে মালির জান্তা নেতা আসিমি গোইতা বলেছেন, আজ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাহেল দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ও পারস্পরিক সহযোগিতা কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লিপটাকো-গৌরমা চার্টারে স্বাক্ষর করেছি।
দেশ তিনটি আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের ইসলামপন্থী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মোকাবেলায় ২০১৭ সাল গঠিত মৌরিতানিয়ার সঙ্গে ফ্রান্স সমর্থিত জি-৫ এর সদস্য ছিল।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর সাবেক উপনেবিশক শক্তি ফ্রান্সের সঙ্গে দেশগুলোর সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়। মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকে সৈন্য প্রত্যাহর করে নেয় ফ্রান্স। এছাড়া গত মাসে নাইজার সরকার ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে বলার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।