সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
বিএনপির মহাসমাবেশ, হরতাল, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চলছে গ্রেপ্তার অভিযান। ইতিমধ্যে রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের শতশত নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা চার হাজার ৫৯০ জন। বর্তমানে ১১ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছে সেখানে। সম্প্রতি বন্দির সংখ্যা আরও বেড়েছে। কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা একটা সমন্বয় করে প্রতিদিন কিছু কিছু সেখানে পাঠাচ্ছি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো বন্দিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন নাশকতা ও জ্বালাও-পোড়াও মামলার আসামি। সহিংসতার মামলার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, অতিরিক্ত বন্দিদের চাপে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন নতুন করে কয়েকশ বন্দিকে কারাগারটিতে পাঠানো হচ্ছে। ফলে সেখানে গাদাগাদি অবস্থা বিরাজ করছে। এতে পরিস্থিতি সামাল দিতে একদিকে যেমন কারা কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে তেমনি নানা সমস্যা পড়ছেন বন্দিরাও। প্রতিটি ওয়ার্ডে বন্দিদের চাপ বেশি থাকায় খাওয়া, ঘুম ও চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে তাদের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর ৩১ জন, ২২ অক্টোবর ৪২ জন, ২৩ অক্টোবর ৪২ জন, ২৪ অক্টোবর ৮৫ জন, ২৫ অক্টোবর ১১১ জন, ২৬ অক্টোবর ২০২ জন, ২৭ অক্টোবর ৩৪০ জন, ২৮ অক্টোবর ৬৯৬ জন, ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন, ৩০ অক্টোবর ১৫৮ জন, ৩১ অক্টোবর ১৪১ এবং সর্বশেষ ১ নভেম্বর ৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।