শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
জন্ম, বেড়ে উঠা ভারতে, কর্মের প্রয়োাজনে বসবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দাম্পত জীবন শুরু করেন দুজন মানুষ সুন্দরের আশায়। ইচ্ছে ছিলো পুরো জীবন এক সঙ্গে কাটিয়ে দিবেন। কিন্তু সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় স্ত্রী আরণে। সুন্দরী হওয়াার তার আলাদা আলাদা বাহানা ছিল। সেসব কিছু মেনে নিয়ে চলছিল। কিন্তু পরকীয়ায় আশক্ত স্ত্রীকে আর নিতে পারছিলেন স্বামী। তাই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মম ও বর্বরতার পথ বেঁচে নেন।
নিয়মিত মারধর, মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী। শেষ পর্যন্ত সেই দাম্পত্যের পরিণতি হয়েছিল ভয়ংকর। স্ত্রীর কর্মস্থলে গিয়ে তাকে ১৭ বার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছিলেন স্বামী। তারপর সেই ক্ষতবিক্ষত দেহের ওপর দিয়ে বারবার গাড়ি চালিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না শরীর থেকে প্রাণের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে যায়। তিন বছর আগের সেই হত্যাকাণ্ডের শুনানি শেষে ভারতীয় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি আদালত।
অভিযুক্তের নাম ফিলিপ ম্যাথু। তার স্ত্রী মেরিন জয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। ২০২০ সালে স্ত্রীর কর্মক্ষেত্রে ঢুকে তাকে খুন করেছিলেন ম্যাথু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ি নিয়ে এসে মেরিনের পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাথু। তারপর ছুরি দিয়ে অন্তত ১৭ বার কোপান তাকে। এরপর ফের গাড়িতে উঠে স্ত্রীর রক্তাক্ত শরীরের ওপর দিয়ে বারবার গাড়ি চালিয়ে তাকে পিষে দেন।
মেরিনের সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন, ম্যাথু ‘স্পিড ব্রেকার’র মতো করে মেরিনের শরীরের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়েই যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৬ বছর বয়সী মেরিনের। মৃত্যুর আগে তরুণী শুধু একটাই কথা বলতে পেরেছিলেন, ‘আমার একটা বাচ্চা আছে।’
সেই ঘটনায় টানা তিন বছর ধরে মামলা চলার পর অভিযুক্ত ম্যাথু দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। জানা গেছে, মেরিন ভয়ংকর দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তাই তাকে শাস্তি দিতেই খুন করেছিলেন ম্যাথু। ফ্লোরিডার আদালত ম্যাথুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। যদিও তার মৃত্যুদণ্ড হওয়ারই কথা ছিল। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তাই শেষমেশ মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে।