শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
বর্ধিত মজুরির প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় আশুলিয়ায় বন্ধ রয়েছে প্রায় ৬০টি পোশাক কারখানা। গতকাল বন্ধ কারখানার সংখ্যা ছিল শতাধিক।
জানা গেছে, আজ রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে ৮-১০টি কারখানায় শ্রমিকরা গিয়ে কাজ না করে বসে থাকেন। অনেকেই হাজিরা দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি দেয়া হয়।
সরেজমিনে সকাল ১০টার দিকে দেখা গেছে, আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, নরসিংহপুর, ছয়তলা, জিরাবো এলাকার দুই পাশে থাকা পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আশুলিয়ায় আজ ৬০টির মতো কারখানা বন্ধ রয়েছে। গতকাল শতাধিক কারখানা বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১২টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা ছাড়াও ১২টি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে অন্তত তিন হাজার ব্যক্তিকে। এছাড়া গ্রেফতার রয়েছেন ৫ শ্রমিক।
এদিকে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, আমরা মজুরির ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছি। যদিও এটি মালিকপক্ষ ও সরকারের বিষয়। যে মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে সেটার গ্রেড অনুযায়ী কে কত পাবে এটি পরিষ্কার করা হয়নি। ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা হলেও পোশাক শিল্পের প্রাণ অপারেটরদের বেতন কত বেড়েছে তা তারা জানেন না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের বসা উচিৎ। এক্ষেত্রে সরকার ভূমিকা নিতে পারে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ও শ্রমিকদের নামে মামলা করে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব না।