শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। স্বাধীনতার সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। প্রতি ঘর আলোকিত করতে হবে। প্রতিটি মানুষ অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনের দল। দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগই সুসংহত করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন ছাড়া বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসেনি।
দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে বলেই দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির পিতার হত্যাকারীদেরকে ইনডেমনিটি জারি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। বিচারের হাত থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখে। যুদ্ধাপরাধী, নারী ধর্ষণকারী, লুটপাটকারী, গণহত্যাকারী, অগ্নিসংযোগকারী, যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছিল তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল তাদেরকেও ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসায়।’
তিনি বলেন, ‘ভোট চুরির যে কালচার, ডাকাতির যে কালচার, সেই কালচার তারা (বিএনপি) শুরু করে। আমি ধন্যবাদ জানাই উচ্চ আদালতকে, অবৈধ ক্ষমতার দখলকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য।’
দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার চলার পথ মসৃণ ছিল না। বারবার আমার ওপর আঘাত এসেছে। তারপরেও আমি দমে যায়নি। আমার লক্ষ্য ছিল স্থির। তা হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। কারণ বাংলাদেশের মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করি। মানুষের জন্যই কাজ করি।
নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘হয়তো দুই একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ সময় ঘোষণা দেবে।