শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
অ্যালান বোর্ডারের নেতৃত্বে প্রথমবার ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটা ১৯৮৭ সালের কথা। সেই শিরোপা জয়ের পর কেটে গেছে ৩৫ বছর। এই সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার আরও চারবার জিতেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। শুধু তাই নয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টির শিরোপাও ঘরে তুলেছে তারা। তবে অজিদের নিয়ে একটা মিথ প্রচলিত আছে। টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে যদি তারা না হারে তবে চ্যাম্পিয়ন হয় হলুদ জার্সিধারিরা!
১৯৭৫ সালে টুর্নামেন্টের অভিষেক আসরে তারা রানার্স-আপ হয়েছিল। ৭৯ আর ৮৩ এর আসরে ফাইনালেই যেতে পারেনি তারা। ৮৭ সালে তো শিরোপাই তারা ঘরে তুলে। এরপর ১৯৯৯. ২০০৩ ও ২০০৭ সালে শিরোপার হ্যাটট্রিক জিতে তারা। ২০১১ সালে ভারতের কাছে কোয়ার্টার ফাইনাল হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায়। পরের আসরে ২০১৫ সালে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয়।
তার মানে কি যতগুলো আসরে ফাইনাল খেলেছে সবগুলোই জিতেছে অজিরা? কোনোটাই কি হারেনি? ১৯৯২ সালে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সেই পাক দল সেবার অস্ট্রেলিয়াতেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে সেবার নকআউট পর্বেই যেতে পারেনি অজিরা। পরের আসর ১৯৯৬ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করে ভারত ও পাকিস্তান।
সেই আসরে ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শিরোপার কাছে গিয়েই ছোঁয়া হয়নি তাদের। তাই ১৯৭৫ আর ১৯৯৬ অস্ট্রেলিয়ার জীবনে দুইবার শেষ কান্না ডেকে এনেছিল। তবে টুর্নামেন্টে ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া আবার অন্য একটি রূপ ধারণ করেছে। গ্রুপ পর্বে বা নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে যারা হারায় তারাই ফাইনাল জিতে।
বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপ হয়েছিল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। সেবার লিগ পর্বে পাকিস্তানের কাছে পরাস্ত হয়েছিল অজিরা। পরের আসরে তো ফাইনালেই হেরে বসে তারা। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত শিরোপাটা যেন নিজেদের নামে প্যাটেন্ট করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটা হাতছাড়া হয় ২০১১ সালে। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজিত হয় রিকি পন্টিংয়ের দল। পরে সেই ভারতই জিতে নেয়ে শিরোপা।
২০১৫ সালে আবার অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে তারা শিরোপা পঞ্চমবারের মতো উঁচিয়ে ধরে। তবে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই থেমে যায় তারা। সেবার স্বাগতিকদের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে।