শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ কোরিয়ার স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষে রয়েছে স্যামসাং। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তথ্যানুযায়ী, বাজারটির ৮৪ শতাংশই এ প্রযুক্তি জায়ান্টের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি প্রযুক্তি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রথম অবস্থানে থাকা স্যামসাং দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপলের থেকে অনেক এগিয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটির বাজার হিস্যা মাত্র ১৫ শতাংশ। সে হিসেবে দেশটিতে ৯৯ শতাংশ বাজারই এ দুই কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। বাকিদের হিস্যা সম্মিলিতভাবে ১ শতাংশ।
দেশটির শিল্প খাতের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দক্ষিণ কোরিয়ার স্মার্টফোন বাজারের ৮০ শতাংশই স্যামসাংয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের মতে হাই-এন্ড বা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ও অন্যান্য গ্যাজেটের চাহিদার কারণে কোম্পানির হিস্যা বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে ৩৪ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে স্যামসাং। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ হার ১০ শতাংশ কম। গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৫ ও জেড ফোল্ড ৫-এর কারণেই মূলত স্যামসাং বাজার হিস্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় অ্যাপলের বাজার হিস্যা ২ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন উৎপাদনকারী কোম্পানির জন্য ইতিবাচক সংখ্যা। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিসহ অন্যদের প্রতিবেদন অনুযায়ী মটোরোলাসহ অন্য কোম্পানিগুলোর বাজার হিস্যা মাত্র ১ শতাংশ। প্রযুক্তিবিদ ও বিশ্লেষকদের আশা, পরের দুই থেকে তিন মাস দক্ষিণ কোরিয়ায় আইফোন ১৫এর বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা বৃদ্ধির কিছু কারণও রয়েছে। প্রথমত দেশটিতে কোম্পানির মূল সদর দপ্তর। যে কারণে ব্র্যান্ডটির প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া ফোল্ডেবলসহ ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেছে। স্মার্টফোন ছাড়াও কোম্পানিটি আরো পণ্য বাজারজাত করছে, যা হিস্যা বাড়াতে সহায়ক।
স্যামসাংয়ের পাশাপাশি অ্যাপলের বাজার হিস্যা বাড়ারও কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমেই রয়েছে ডিভাইসের পারফরম্যান্স বা সক্ষমতা। কাউন্টারপয়েন্টের জরিপ অনুযায়ী, ৩২ শতাংশ ব্যবহারকারী পারফরম্যান্সের কারণে অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইওএসে স্থানান্তরিত হয়েছে। এছাড়া ৩১ শতাংশ ব্যবহারকারী ব্র্যান্ড ইমেজের কারণে ডিভাইস পরিবর্তন করে থাকে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে অ্যাপলের ক্যামেরা। ছবি তোলার ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞতা পাওয়ায় ব্যবহারকারীরা অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইফোনে স্থানান্তরিত হয়।