বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে দেশের সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো কোনো কোর্সে ফাঁকা আসনের হার ৯০ শতাংশও ছাড়াচ্ছে। সর্বশেষ গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষেও দেশের সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আসন ফাঁকা ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারিকুলামের দুর্বলতা, প্রচারণার অভাব, শিক্ষক সংকট ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিপুলসংখ্যক আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩৪টি ডিগ্রির অধীনে ৩৪৬টি টেকনোলজি/ট্রেড/স্পেশালাইজেশনে (বিভাগ) শিক্ষার্থী ভর্তি করছে সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এসব বিভাগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৫টি। এর বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে ৯৮ হাজার ৪৬ জন। আসন ফাঁকা ছিল ৫৬ হাজার ৮৪৯টি। সে অনুযায়ী, সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে।
টানা পাঁচ শিক্ষাবর্ষ ধরে সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ৩০ শতাংশের বেশি আসন ফাঁকা থাকছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে। ওই সময় এসব প্রতিষ্ঠানে ফাঁকা আসন ছিল ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে। করোনার অভিঘাতে সে সময় প্রতিষ্ঠানগুলোয় ফাঁকা আসন দাঁড়ায় ৪৭ দশমিক ৪২ শতাংশে।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) ও নতুন প্রতিষ্ঠিত টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোয় (টিএসসি) এ সংকট বেশ প্রকট হয়ে উঠেছে। এমনই এক প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০২২ সালে কার্যক্রম শুরু করা প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ষষ্ঠ-দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট আসন রয়েছে ৬৮০টি। তবে এর বিপরীতে চলতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মাত্র ১৮৪ জন। শূন্য আসনের সংখ্যা ৪৯৬। গত বছরেও প্রতিষ্ঠানটিতে ১৬০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল মাত্র ৫৪ জন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিতষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট শিক্ষক ও প্রচারণার অভাব। আমার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদ ৪৮টি। কিন্তু শিক্ষক রয়েছেন মাত্র নয়জন। এত স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে তো প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরাও আগ্রহী হবে না। আবার কারিগরি শিক্ষার প্রচারণাও তুলনামূলক কম। এ কারণে আমি মনে করি কারিগরি শিক্ষায় শুধু প্রতিষ্ঠান বাড়লেই শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়বে না। প্রয়োজনীয় জনবল ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাও জরুরি।’
নওগাঁয় তিনটি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় অবস্থিত নওগাঁ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসনসংখ্যা ২০০। চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হয়েছে ৬২ জন। ফাঁকা রয়েছে ১১৭টি আসন।
জেলার সাপাহার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে আসন রয়েছে ১৬০টি। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৩৪টি আসনই ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে এ বছর একাদশ শ্রেণীতে সিভিল টেকনোলজিতে ছয়জন ও ওয়েল্ডিং টেকনোলজিতে ১৭ জনসহ মোট ২৩ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। অটোমোবাইল ও অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজিতে কোনো শিক্ষার্থীই ভর্তি হয়নি।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় অবস্থিত এম বায়তুল্লাহ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে তিনটি ট্রেডের প্রতিটিতে ৩০টি করে মোট ৯০টি আসন রয়েছে। এর ৮৩টি আসনই ফাঁকা। চলতি বছর এখানকার একাদশ শ্রেণীতে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিতে সাতজন ভর্তি হয়েছে। কম্পিউটার ও ফিশ কালচার টেকনোলজিতে কোনো শিক্ষার্থীই ভর্তি হয়নি।
মাদারীপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলতি বছর ভর্তি কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। বিগত বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হয়েছিল ১২৮ জন আর আসন ফাঁকা ছিল ১৯২টি।
অন্যদিকে শিক্ষাক্রম বা ডিগ্রির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা থাকছে জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘণ্টা) শিক্ষাক্রমে। এ শিক্ষাক্রমে ৪০ হাজার ৫৭০টি আসনের মধ্যে ৩৮ হাজার ৯৮টিই ফাঁকা, যা মোট আসনের প্রায় ৯৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালে প্রায় ৫৭ দশমিক ৬৪ ও জেএসসি ভোকেশনালে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আসন শূন্য।
এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এ তিন শিক্ষাক্রমের মধ্যে জেএসসি ভোকেশনালের কার্যক্রম নতুন হলেও জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘণ্টা) ও এইচএসসি ভোকেশনালে বিগত শিক্ষাবর্ষেও যথাক্রমে ৯৫ দশমিক শূন্য ৮ ও ৪৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ আসন শূন্য ছিল।
নেতিবাচক প্রচারণা থাকার কারণে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী সংকট কাটছে না বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মাহবুব হায়দার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হলো এখানে ধরেই নেয়া হয় কারিগরি শিক্ষা কম মেধাবীদের জন্য। তাই যেসব শিক্ষার্থী পড়ালেখায় মনোযোগী তারা এখানে পড়তে চায় না। কারিগরি শিক্ষায় যদি আমরা এনরোলমেন্ট বাড়াতে চাই তাহলে প্রথমে আমাদের এ ধারণা দূর করতে হবে এবং এ-সংক্রান্ত প্রচারণা বাড়াতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট বাড়ালে সাধারণ শিক্ষায় এনরোলমেন্ট কমবে। সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চয়ই চাইবে না তাদের শিক্ষার্থী কমুক। সেক্ষেত্রে যদি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়ও কারিগরির কোর্সগুলো চালু করা যায় তাহলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়বে এবং নতুন প্রতিষ্ঠান নির্মাণেরও প্রয়োজন হবে না।’
এদিকে, জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘণ্টা) ও এইচএসসি (ভোকেশনালে) উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসন ফাঁকা থাকলেও এ দুই শিক্ষাক্রমে ক্রমাগত আসন বাড়াচ্ছে সরকার। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালে জাতীয় দক্ষতামান বেসিকে (৩৬০ ঘণ্টা) আসন সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার। এ সময় শুধু টিটিসিগুলোয় জাতীয় দক্ষতামান বেসিক (৩৬০ ঘণ্টা) শিক্ষাক্রম চালু ছিল। তবে ২০২৩ সালে আরো বেশকিছু কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ শিক্ষাক্রম চালু করা হয় এবং প্রায় ৪ হাজার ৫৭০টি আসন বাড়ানো হয়।
২০২২ সালে এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) আসন সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৮৮০ এবং ২০২৩ সালে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২০০টি বাড়ানো হয়। এছাড়া গত ২৯ আগস্ট সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে আরো ৫০ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপনের প্রকল্প একনেকে পাস হয়।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, দেশে কারগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার বাড়াতে হলে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের চেয়েও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন চাইলে আমাদের সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় যোগ্য শিক্ষক ও সময়োপযোগী পাঠপদ্ধতি। যদি ভালো শিক্ষক থাকে তাহলে অবকাঠামো যেমনই হোক না কেন তিনি শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারবেন। কিন্তু যদি শিক্ষকই না থাকে তাহলে শেখাবেন কে? অবকাঠামো নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভালো মানের শিক্ষক নিশ্চিত করা। তাই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে হলে শুধু নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করলেই হবে না। বরং এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে অধিক জোর দিতে হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন আইএমইডির পক্ষ থেকেও বিদ্যমান টিটিসিগুলোর মানোন্নয়ন না করে নতুন করে সেন্টার স্থাপন না করার সুপারিশ দেয়া হয়েছিল। গত জুনে দেশে নতুন প্রতিষ্ঠিত ২৭টি টিটিসি নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছিল সংস্থাটি।
আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশিক্ষণের বিষয় যুগোপযোগী ও আধুনিক না হওয়া, ব্যবহারিকের সুযোগ না থাকা, প্রশিক্ষক সংকটসহ নানা জটিলতায় টিটিসিগুলো উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিবেদনের উল্লেখিত জরিপে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ-বিদেশে ৩০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থী কাজে যুক্ত হলেও ৭০ শতাংশই কাজ না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত। এসব কারণে বিগত কয়েক বছরে টিটিসিগুলোয় উল্লেখযোগ্য হারে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যাও কমেছে।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারিকুলামের দুর্বলতা, প্রচারণার অভাব, শিক্ষক সংকট ও ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোয় আসন সংখ্যা শূন্য থাকছে। গণসাক্ষরতা অভিযান প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন এডুকেশন ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষক মনে করেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের বেশির ভাগ কোর্স বর্তমান বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়। এছাড়া প্রায় ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ খাতে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৩ শতাংশ চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে উপযুক্ত প্রশিক্ষক নিয়োগ, ৩৬ শতাংশ আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি, ২৫ শতাংশ আধুনিক পরীক্ষাগার নিশ্চিত ও ৯ শতাংশ প্রচারণা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৃহৎসংখ্যক জনগোষ্ঠী প্রয়োজন। এ চিন্তা করেই সরকার হয়তো নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে, আসন বাড়াচ্ছে। তবে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সে লক্ষ্যে আমাদের পৌঁছাতে হলে শুধু নতুন কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করলেই হবে না, বরং প্রয়োজনীয় শিক্ষক, সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতসহ সব দিকই সমন্বয় করতে হবে। এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে যে পরিকল্পনা করা হয় সেগুলো খারাপ নয়। কিন্তু বেশির ভাগ সময় এর যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না এবং আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। যেমন দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক সংকট দূর করার বিষয়ে বলা হচ্ছে। অথচ এখনো শিক্ষক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। কেন এ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলেই আমরা অনেক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।’