বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

মনোনয়ন বাতিল শুনে কান্না করতে করতে মেঝেতে গড়াগড়ি প্রার্থীর

মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার প্রার্থীতা বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আকতার।

প্রার্থীতা বাতিলের কথা শুনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রার্থীতা ফেরত চেয়ে কান্না করতে করতে মেঝেতে গড়াগড়ি করতে দেখা যায় আব্দুল আলী বেপারীকে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিলের পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল আলী বেপারী (৬০) মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কৃষিকাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার কাছে নগদ ২ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে বলে নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেন।

স্থানীয়রা জানান, মো.আব্দুল আলী বেপারী ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ঘিওর উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং তিনবারই পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আবদুল আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন আমার ভোটাদের মুখ দেখাব কেমনে? আমি আর বাঁচুম না। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম, আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাইতে চাইছিলাম। যেকোনো চক্রান্তের মাধ্যমে আমার নমিনেশন (মনোনয়ন) বাদ দেওয়া হইচে। আমি এই চক্রান্ত বিশ্বাস করি না। আমাকে আমার ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’

আবদুল আলী বেপারীর মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রসঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আকতার বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন ও টিন সার্টিফিকেট এবং স্বতন্ত্র-সমর্থক ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় ওই প্রার্থী (আবদুল আলী বেপারী) মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আগামী ৫ থেকে ৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com