সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

বাত ব্যথা ও প্যারালাইসিসের উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে ‘ডিপিআরসি’

বাত-ব্যথা একটি অপ্রীতিকর অনুভূতি এবং মানসিক অভিজ্ঞতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যথাকে একটি রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। একটা সময় ছিল, যখন মানুষ সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাবে বাত-ব্যথা ও প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো কিংবা পঙ্গু হয়ে মানবতের জীবন যাপন করত। তখন মানুষ বাত, ব্যথা ও প্যরালাইসিসকে অভিশাপ হিসেবে মেনে নিতো। তবে বিজ্ঞানের সবকটি শাখার উন্নতির ধারাবাহিকতায় থেমে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানও। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখাটি উন্নয়নের অবদানে বাত-ব্যথা প্যরালাইসিস আক্রান্ত রোগীদের কমেছে মৃত্যু হার, মানুষ ফিরে পাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন, ফিরে পাচ্ছে তার মুখের হাসি। দূর হয়েছে অভিশাপ নামের ভ্রান্ত ধারনা। সেই শাখাটির নাম। “ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা”

স্বাস্থ্যের ৪টি অঙ্গ ১. প্রতিরোধ, ২. প্রতিকার, ৩. আরোগ্য ও ৪. পুনর্বাসন।

মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এদেশে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন খাত ছিলো একদমই উপেক্ষিত। তবে এই পুনর্বাসনের গুরুত্ব প্রথম ফুটে ওঠে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার সময়। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাঙ্গালী জাতির ও বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় পুনর্বাসন সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় রিহ্যাবিলিটেশন ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল ফর ডিজঅ্যাবলড (আর,আই,এইচ,ডি) যার পরবর্তী নামকরণ করা হয় নিটোর এবং লোকমুখে যা পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত। ১৯৭২ সালে এই হাসপাতাল “ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক” গড়ার সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছে। এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকেই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় স্নাতক সম্পন্ন করা এক স্বপ্নচারী সাহসী ব্যক্তিত্ব ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com