বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৪ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাঋণ নিয়েছেন। এদের ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সম্প্রতি ৬০০ শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত দেউলিয়াত্ব সুবিধা পেতে আদালতে আবেদন করেছেন। খবর বিবিসি।
২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় জো বাইডেনের একটি প্রতিশ্রুতি ছিল শিক্ষার্থীদের দেউলিয়াত্ব সুবিধা দেয়া।
উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক জেসন ইউলিয়ানো জানান, শিক্ষার্থীসহ আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করে। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে প্রায় ১ লাখ মানুষ ঋণ মওকুফের যোগ্য হতে পারে।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি ৬৩০ জন শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত দেউলিয়াত্বের অংশ হিসেবে শিক্ষাঋণ মওকুফের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। বিচার বিভাগ এর মধ্যে কতগুলো সমাধান করেছে, তা জানা যায়নি। তবে আদালত সূত্র জানায়, ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থীকে মওকুফ করা হয়েছে।
আইনটি নতুন হওয়ায় এর প্রচার নেই। আইনজীবীরা এখনো বিষয়গুলো সম্পর্কে শিখছেন। ন্যাশনাল কনজিউমার ল সেন্টারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জন রাও বলেন, ‘প্রচার প্রসারের জন্য এ আইনের আরো সময় প্রয়োজন।’
ওয়াশিংটনের শিক্ষার্থী কেস্ট্রেল ও’কনালি মনোবিজ্ঞানে ডক্টরেট করার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। শিক্ষাঋণের ৬ লাখ (প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার সুদসহ) ডলার থেকে অব্যাহতি পেতে গত বসন্তে আবেদন করেন।
৪১ বছর বয়সী কেস্ট্রেল ও’কনালি বলেন, ‘ঋণ দেউলিয়ার জন্য আবেদন করার কথা আমার মাথায়ই আসেনি। এক বন্ধু এ নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমাকে দেখানোর পর বিষয়টি ভেবেছি।’
শিক্ষাঋণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঋণগ্রহীতারা প্রায়ই তাদের লেখাপড়া শেষ হওয়ার কয়েক বছর পরে মোটা অংকের মাসিক কিস্তির সম্মুখীন হন।
কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা তালাকপ্রাপ্ত এবং তিন সন্তানের জননী এলিজাবেথ হেডজিক জানান, গত গ্রীষ্মে তিনি থেরাপিস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য শিক্ষাঋণ নিয়েছিলেন। এখন তিনি ১ হাজার ৪০০ ডলারের বেশি মাসিক কিস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন। অন্যান্য খরচের পাশাপাশি এ কিস্তি তার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব না।
কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাঋণ অন্যান্য ঋণের তুলনায় মওকুফের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল।
এ কারণে শিক্ষার্থীরা অযাচিত কষ্ট”সহ্য করতে বাধ্য হয়েছেন। সিঙ্গল মাদার ও ক্যান্সার রোগীদের মাসিক কিস্তির চাপের কথাও শোনা গেছে। এসব সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের উদ্যোগ প্রশংসা পাচ্ছে।