সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রায়শ সাংবাদিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার পেছনে আঙুল উঠছে ইসরায়েলের দিকেই। গত ১৩ অক্টোবর লেবাননে সীমান্তে কর্মরত অবস্থায় নিহত হন রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আব্দুল্লাহ (৩৭)। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর ঘটনার প্রায় দুই মাস পর হামলার জন্য ইসরায়েলের ছোড়া গোলাকে দায়ী করল সংবাদ সংস্থাটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন সীমান্তে যুদ্ধের দৃশ্য ধারণের সময় গোলা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। যাতে আরো ছয় সাংবাদিক আহত হন।
লেবাননের আলমা আল-চাব গ্রামের থেকে এক কিলোমিটার দূরে ইসরায়েলি সীমান্তে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই সময় এএফপির ফটো সাংবাদিক ক্রিস্টিনা অ্যাসি (২৮) গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি উঠে আসে। তবে তখন নিশ্চিত কোনো মন্তব্য করেনি রয়টার্স। বলা হচ্ছে, বিষয়টি তদন্ত করতে রয়টার্স অন্তত ৩০ জনের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সামরিক বিশেষজ্ঞ, ফরেনসিক তদন্তকারী, আইনজীবী, চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়া ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ এবং হামলার আগের ও পরের শতাধিক ছবি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে রয়টার্সের গাড়ি, তিনটি জ্যাকেট, একটি ক্যামেরা, ট্রাইপড সংগ্রহ করেছে। পরে তারা এগুলো পরীক্ষার জন্য ডাচ স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডস অরগানাইজেশন ফর অ্যাপ্লায়েড সায়েন্টিফিক রিসার্চের (টিএনও) কাছে পাঠায়।
ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ১২২ মিলিমিটারের একটি বোমার অংশবিশেষ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে ওই বোমা লেবানন সীমান্তের ওপার থেকে এক কিলোমিটার দূরে থাকা সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে। এটিও নিশ্চিত করেছে যে বোমার অংশটি ইসরায়েলি বাহিনীর।
তবে ইসরায়েল এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। আইডিএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লে. কর্নেল রিচার্ড হেচট ‘আমরা সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করিনি’ উল্লেখ করে আর কোনো মন্তব্য করেননি।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, হামাস-ইসরায়েলেল এ সংঘাতে দুই মাসে ৬৩ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।