বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তা কিন্তু নয়। তবুও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড তা ছিল দুর্দান্ত। তার চমৎকার বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে অল্পতে আটকে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত চেষ্টায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি জিতে নীল ক্যারিবিয়ানরা।
ব্রিজটনে বৃষ্টিবিঘিœত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজও ঘরে তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৭ সালের পর এটাই তাদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়। আর নিজেদের মাটিতে ২৫ বছর পর ইংল্যান্ডকে এই সংস্করণে সিরিজ হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। সবশেষ ১৯৯৮ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল তারা ৪-১ ব্যবধানে।
এদিন দুই ঘণ্টার বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। ম্যাচ শুরুর পর আবার বৃষ্টি হলে খেলা হয় ৪০ ওভার। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ৪০ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৯ উইকেট ২০৬ রান। ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ ওভারে ১৮৮ রান, যা ৪ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখেই টপকে যায় ক্যারিবীয়রা।
৮ ওভারে ২৯ রানে ৩ উইকেট-এমন স্পেলে ম্যাচের ছন্দ ঠিক করে দেন ফোর্ড। এরপর ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিসি কার্টির ফিফটি, অলিক অ্যাথানাজের কার্যকর ইনিংস ও রোমারিও শেফার্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড শুরুতেই খায় বড় ধাক্কা। ৮ রানেই হারায় ওপেনার ফিল সল্ট ও তিন নম্বরে ক্রিজে আসা জ্যাক ক্রলির উইকেট। ৪৫ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস। আগের ম্যাচে অর্ধশতক করে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া অধিনায়ক জস বাটলার করেন শূন্য রান। এতে ৯.৪ ওভারে ৪৯ রানেই ৫ উইকেট নেই ইংলিশদের।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন বেন ডাকেট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৭১ রানে ডাকেট ও ৪৫ রানে ফিরে যান লিভিংস্টোন। এরপর ইংল্যান্ড ২০০ রান পার করে শেষ উইকেটে ম্যাথু পটস ও গাস আটকিনসনের ৩৫ রানের জুটিতে।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ব্র্যান্ডন কিংকে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কক্ষপথে রাখেন আথানেজ ও কার্টি। তারা গড়েন ৭৬ রানের জুটি। ৭ চারে ৪৫ রান করা আথানেজের বিদায়ে ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। টিকতে পারেননি শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, শেরফান রাদারফোর্ড।
এক প্রান্তে নিজের মতো খেলে ৫৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন কার্টি। এরপর অবশ্য তিনিও বেশিদূর যেতে পারেননি। তার ৫০ রানের ইনিংসে ১ ছক্কার সঙ্গে চার ৫টি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জেতে শেফার্ড ও ফর্ডের জুটিতে। তিনটি করে ছক্কা-চারে ২৮ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন শেফার্ড। বল হাতে আলো ছড়ানো ফোর্ড ১ চারে ১৩ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে মাঠ চারেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। সিরিজ সেরা হন শেই হোপ।