শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
হাডসন ভ্যালির প্রাথমিক লক্ষ্য হলো এআইয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বাড়ানো। মূল ফিচারগুলোর মধ্য রয়েছে এআই-চালিত একটি উইন্ডোজ শেল এবং একটি উন্নত কোপাইলট এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। ফাংশনগুলো উন্নত করতে ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্টটি ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্চ, অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ, ওয়ার্কফ্লো ম্যানেজমেন্ট এবং কনটেক্সট আন্ডারস্ট্যান্ডিং অন্যতম।
এআই অপারেটিং সিস্টেমের সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা পেতে হলে নিউরাল প্রসেসিং ইউনিট বা এনপিইউ হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। ফলে কম্পিউটারগুলোর জন্য এখন হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। তাছাড়া পুরনো কম্পিউটারগুলো এআই-কেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে অসামঞ্জস্য হয়ে উঠবে।
আইডিসির পূর্বাভাস অনুসারে, এনপিইউ দিয়ে সাজানো এআই পিসিগুলোর অ্যাসেম্বির হার দ্রুত বাড়বে। ২০২৭ সালের মধ্যে যা ৮১ শতাংশে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি পিসি বাজারের মূল ধারায় এআইয়ের যোগ হওয়ার একটি ইঙ্গিত দেয়।
উইন্ডোজ ১১-এর সাম্প্রতিক আপডেটে কোপাইলট এআই আপডেট এবং পেইন্টে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভাল ফিচারগুলো মাইক্রোসফটের এআই-চালিত উন্নতির চলমান প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত। এছাড়া কোম্পানিটি উইন্ডোজ আপডেট চক্রের জন্য একটি নতুন রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
অ্যাডভান্সড কোপাইলট ছাড়াও হাডসন ভ্যালি ডায়নামিক প্যারালাক্স ইফেক্ট এবং ইন্টার-অ্যাকশন ক্যাপাবিলিটিসহ এআইচালিত ওয়ালপেপার প্রবর্তনের ফিচার নিয়ে কাজ করছে। ছবি, ভিডিও ও গেমের উচ্চ রেজল্যুশন কোয়ালিটি, এনার্জি সেভিং মোডের উন্নতি এবং শীর্ষে অবস্থিত সিস্টেম স্ট্রেসহ ডেস্কটপ ইন্টারফেসের একটি সম্ভাব্য পুনঃডিজাইন নিয়েও কাজ করছে তারা। উল্লেখ্য, হ্যাডসন ভ্যালির চূড়ান্ত নাম ও ফিচার এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।