শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, গাড়িতে, রিকশায়; এমনকি সাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজের পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলার পথে পথে ফেরিওয়ালা বিক্রি করছে জাতীয় পতাকা।
পতাকা কিনার সময় উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী ওমেদুল বলেন, ১৯৭১ সাল দেখেনি। তবে, লাল-সবুজের পতাকা দেখলে হৃদয়ে এক ধরনের আবেগ তৈরি হয়। এ পতাকার জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। এ পতাকা আমাদের অস্তিত্ব। এ পতাকার জন্য আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল করছি। বিজয়ের এই উল্লাসে লাল-সবুজ শুধুমাত্র দুইটি রঙই নয়, এ যেন অনুভূতির আরেক নাম। পতাকা দেখলে মনে হয় আমরা স্বাধীন জাতি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয় দেশ। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের রক্তের বিনিময়ে।
দামুড়হুদা উপজেলার অলিগলিতে পতাকা বিক্রি করে চলছে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার পূর্বকাকি গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে ওলিত হোসেন জানালেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পতাকা বিক্রি করেই আসছি বিশেষ করে ২১ ফ্রেব্রুয়ারী, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস গুলোতে এছাড়াও ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার সময় পতাকা বিক্রি করে থাকি আমরা দুই ভাই এসেছি ডিসেম্বারের ৫ তারিখ বাড়ি থেকে বাহির হয় পতাকা বিক্রি করার উদ্দেশ্য। যেখানে রাত হয় সেই এলাকায় যে কোন বাড়িতে বা সরকারী ঘরের বারান্দায় রাত কাটায়।
তিনি আরো বলেন, শুধু ব্যবসার জন্য পতাকা বিক্রি করি না দেশকে ভাল বেসে পতাকা বিক্রি করে দিন পার করছি, যখন কেউ একটি পতাকা ক্রয় করে আমার মনের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়, যে মানুষের মধ্যে দেশ প্রেম বেচে আছে এখনও।
প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করেন তিনি থাকা খাওয়া চলাচল পতাকা কেনা বানানো প্রায় সব বাদ দিয়ে ওলিতের গড়ে ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করেন। বিগত বছরের তুলনায় এবছর বেচাকেনা কম।