রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
মামনুন হাসান ইমন- ২০০৭ সালে তৌকীর আহমেদের প্রথম পরিচালনার সিনেমা ‘দারুচিনি দ্বীপ’র মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক ঘটে তার। তবে নিজের অভিনয়কে মেলে ধরেন ‘গহিনে শব্দ’ নামের ছবিতে। প্রায় ষোল বছরের ক্যারিয়ারে আরও অনেক উল্লেখযোগ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় এসে যারা বড় পর্দার অভিনেতা হিসেবেই সুনাম কুড়িয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইমন। বিদায়ী বছরের শেষ এবং আগামী বছরের শুরুসহ সিনেমার নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
একদিকে বছর শেষ, আরেকদিকে বছর শুরুর পথে কী ভাবছেন?
একটা বছর তো শেষ হওয়ার পথে, আবার শুরু হবে নতুন আরেকটি বছর। এভাবে চলতেই থাকবে মানুষের জীবন প্রক্রিয়া। আর আমাদেরও তো বছর শেষ হলে কাজের একটা হিসাব থাকে। এ বছর তো আমার অনেকগুলো ছবি মুক্তি পেয়েছে। নতুন বছরেও বেশ কিছু চমক নিয়ে শুরু করার ইচ্ছে আছে আমার। এর মধ্যেও বেশ কিছু ভালো কাজ শেষ করলাম। আবার নতুন বছরের শুরুতেই একটা বড় কাজ নিয়ে আসতেছি। তো, নতুন বছরে সৃষ্টিকর্তা যদি আমাকে ভালো রাখেন তাহলে আরও সুন্দর করে সাজাব ইনশাআল্লাহ।
যে কাজ শেষ করলেন এবং নতুন কাজ শুরু করবেন- এ সম্পর্কে বলবেন কী?
আসলে সত্যি কথা বলতে কী, আমি যে কাজটি শেষ করেছি সেটা অনেক বড় কাজ। তিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অনেক বড় একজন ডিরেক্টর। ছবিটি সম্পর্কে মিডিয়ার কাছে এখনই কিছু বলার ব্যাপারে নিষধ করা আছে। দুটোই বড় কাজ। এ সম্পর্কে তারাই প্রেস কনফারেন্স করে জানাবেন। এ নিয়ে হয়তো নতুন বছরে ঘোষণা দেওয়া হবে। অন্যান্য শেষ করা ছবির মধ্যে আছে অঞ্জন আইচের ‘কানামাছি’, লুবনা শারমিনের ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’, সাদেক সিদ্দিকীর ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’- এ কয়টি ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত আছে। আরেকটি কাজ নতুন বছরের একেবারেই প্রথমেই শুরু হবে। এগুলো নিয়েই আল্লাহর রহমতে নতুন বছরটা সাজাব ইনশাআল্লাহ।
অনেকেই এখন কলকাতামুখী আপনার কি তেমন ইচ্ছে হয় না?
আসলে আর্টিস্টদের তো কোনো ক্যারিয়ার নেই তার ইচ্ছে হলে যে কোনো জায়গাতেই কাজ করতে পারে। তো, আমার সাথে কলকাতার একটি ছবিতে কাজ নিয়ে কথা হলেও পরে দেখলাম ছবিটার গল্প আমাকে ততটা আকর্ষণ না করায় সেটা করা হয়নি। আসলে আমার ইচ্ছে আছে দেশের বড় বড় ডিরেক্টরের অধীনে ভালো ভালো কাজ করার যারা এই মুহূর্তে হিট। তবে সবকিছু মিলিয়ে ভালো অফার পেলে সেখানেও কাজ করা যাবে। তবে এ নিয়ে আমি সেখানে কাজ করতে ওইভাবে চেষ্টা করিনি। তবে আমি এতটুকু বুঝি যে, বাংলাদেশে যদি আমি ভালো কাজ করি তাহলে ওখান থেকেও ভালো অফার আসবে।
ওটিটি সম্পর্কে আপনি কী ধারণা পোষণ করেন?
ওটিটিতে আমার এখনো কোনো কাজ করা হয়নি, তাই এ সম্পর্কে তখনই আমার ধারণা দিতে পারব যখন সেখানে কাজ করব। ওটিটিতে আমার একটা কাজ হতে পারে, তবে এ সম্পর্কে জানুয়ারিতে আমি ঘোষণা দেব ইনশাআল্লাহ। আমি মনে করি এখন ছোট পর্দায় বেশ কিছু তরুণ ডিরেক্টর আছেন যারা খুব ভালো ভালো কাজ করছেন। খুবই দুর্দান্ত কাজ হচ্ছে। এটা খুবই আশার একটা জায়গা।
ঈদে ছবি ভালো চললেও শাকিব খানের ছবি থাকলে তো কারও ছবি তেমন চলে না?
তিনি যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ফিল্মে সবচেয়ে বড় সুপারস্টার এটা অস্বীকার করা যাবে না। হল মালিকরাও ঈদে তারই ছবি চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক। তারপরেও এবার তো গেল ঈদে ‘সুড়ঙ্গ’ ভালো ফাইট দিয়েছে। সুড়ঙ্গ যিনি বানিয়েছেন সেই রায়হান রাফীও কিন্তু পরিচালক হিসেবে একজন স্টার এই মুহূর্তে বাংলাদেশে। রায়হান রাফী কেমন ছবি বানালে দর্শক ভালো হবে- মানুষের পালসটা ভালো বুঝেন। উনাদের মতো স্টার ডিরেক্টর যখন আমাদের মতো অভিনেতাদের দিয়ে ছবি বানাবেন তখন দেখবেন তাদের ছবিও ঈদে ভালো করছে। তাহলেই মার্কেট বড় হবে।
সব মিলিয়ে দেশের সিনেমা কেমন আশা করছেন?
আমার মনে হয়, এখন বাংলাদেশের ফিল্মের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। আপনি দেখেন বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই ও ভারতের এসভিএফ- এই তিন বড় প্রযোজনা সংস্থা যখন বিশাল বাজেট নিয়ে ছবি বানাতে আসছে তাতেই বুঝতে পারছেন আমাদের সিনেমার ভবিষ্যৎ ভালো না হলে এত বড় বড় করপোরেট সংস্থাগুলো সিনেমায় অর্থ লগ্নি করত না।