বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে দেশবিরোধী সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াত। তারা সংবিধান, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিরোধী।
আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটার ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে মতবিনিময় করেন শিক্ষকবিদ ও বিশিষ্টজনরা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে বিরোধী পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশে ধরনা দিচ্ছে। তাদের আচরণ কোনো রাজনৈতিক দলের ভেতর পড়ে না। বর্তমানে তারা নির্বাচনে বাধা তৈরি করছে। এ-ই নির্বাচন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে চান তারা দলে দলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নাম নেওয়া যাবে না, এমন আইন করেছিল জিয়াউর রহমান। তার আমলে চলচ্চিত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত বড় কিংস পার্টি। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে গঠিত বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এখন বড় কিংস পার্টি। বিএনপির সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ মানে দেশকে আবারো পাকিস্তান বানানোর প্রচেষ্টা।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করার জন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে ভূমিকা পালন করবেন। সবার আন্তরিক একান্ত প্রয়োজন।
সেমিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফুল ইসলাম।