সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর -৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর একটি নির্বাচনী সভা থেকে কর্মীর হাতে নগদ টাকা দেয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ‘বক্তব্যের শেষের দিকে নিক্সন চৌধুরী বলছেন, আগামী শনিবার ভাঙ্গার আলগীতে আপনারা একটা বড় শোডাউন করবেন। কিন্তু নির্বাচনের আচরণবিধির জন্য আমরা আপনাদের কিছু বলতেছি পারতেছিনা। তবে আপনারা খিচুড়ি খাবেন সে ব্যবস্থা আমি করে দিতে পারি।’ একথা বলার পরে নিক্সন চৌধুরী তার পাশে দাড়ানো সোনাখোলা গ্রামের নজরুল শিকারীর হাতে পকেট থেকে নগদ টাকা বের করে তার হাতে দেন।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা থানা সংলগ্ন এলাকায় টেম্পু স্ট্যান্ডের শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করে নিক্সন চৌধুরী।
এসময় তার পাশে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আচারন বিধিমালার ১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা, অনুদান, ইত্যাদি প্রদান নিষিদ্ধ।-কোন প্রার্থী কিংবা তাহার পক্ষ হইতে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনি এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা উক্ত এলাকা বা অন্যত্র অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করিতে বা প্রদানের অঙ্গীকার করিতে পারিবেন না।]
এছাড়াও আচারন বিধির ১৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।-(১) কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনী রিটারিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে তথ্য প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ দিলে আইননুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফরিদপুরের এই রিটারিং কর্মকর্তা আরো বলেন, কোন ভাবেই কোন প্রার্থী বা তার কোন লোক প্রকাশে বা গোপানে কাউকে টাকা দিতে পারে না। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নির্বাচনী সভা মঞ্চে প্রকাশে প্রার্থীকর্তৃক নগদ অর্থ প্রদান বিষয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত জেলা পরিষদের চেয়াম্যান শাহদাৎ হোসেন বলেন, এমন ঘটনা হয়েছে কি না জানি না।