বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
ফেনীতে জনসংখ্যা বাড়লেও গত দুই বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যার একটি সমন্বয় থাকলেও এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাবি, কভিডের সময়ে প্রতিটি শ্রেণীতেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ওই সময়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ওপর যে প্রভাব পড়েছে তা এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।
বিগত তিন বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে এসএসসি পর্যায়ে শিক্ষার্থী কমে আসার চিত্র উঠে আসে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কভিডের মধ্যেও ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা হলেও সে বছর এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। পরে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২২ সালে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেয়া এসএসসি পরীক্ষা। ওই বছর ফেনীতে ২০ হাজার ৯৫৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরের বছর ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নেমে আসে ১৮ হাজার ৪৮২ জনে। চলতি বছর (২০২৪ সাল) সেই সংখ্যা আরো কমে ১৭ হাজার ২৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার সুন্দরপুর শফিকুর রহমান (এসআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমীর হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কভিডের সময়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর ব্যাচ এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সে সময় ঝরে পড়ার পর এ ব্যাচে শিক্ষার্থী আর বাড়েনি। একইভাবে কভিডের সময়ের নবম, অষ্টম ও সপ্তম শ্রেণীর ব্যাচ যথাক্রমে ২০২২, ২৩ ও ২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফী উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কভিডের সময় দেশজুড়ে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, তার প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। আশা করি, আগামী এক-দুই বছরের মধ্যেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়মিত হয়ে আসবে।’