রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩০ অপরাহ্ন
এতদিন পর্দায় সুন্দরী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে এবারই প্রথম মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’ সিনেমার একটি দৃশ্যে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যা প্রশংসিত দর্শকমহলে। মূলত বাস্তবিক অর্থে মা বলেই পর্দায় সন্তানের প্রতি মায়ের আবেগ-ভালোবাসা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন বলে দাবি এ লাস্যময়ী সুন্দরীর। সম্প্রতি চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অভিনেত্রী মাহি। একই সঙ্গে পর্দার বাইরে ব্যক্তিজীবন নিয়ে তিনি জানান―রকিব সরকারের সঙ্গে বিয়ে-বিচ্ছেদের আগে থেকেই মানুষের সেবা করতেন। এখন মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবেন এ নায়িকা।
সিনেমাটিতে মায়ের চরিত্রে মাহির ক্যামিও দৃশ্য বেশ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকমহলে। সাধারণত পর্দায় নায়িকা হিসেবে দেখা গেলেও কী ভেবে ‘রাজকুমার’-এ মায়ের চরিত্রে কাজ করলেন, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চ্যানেল 24 অনলাইনকে মাহি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের আপড্রেগ হওয়া উচিত। পার্শ্ববর্তীর দেশগুলোর কথা যদি বলি, তাহলে দেখতে পাবেন অনেক বড় বড় তারকারা আরেক জন তারকার সিনেমায় ক্যামিও দৃশ্যে হাজির হয়।’
অনেক দিন হয় পর্দায় নিয়মিত নন মাহি। তবে যখন ফেরার কথা ভাবছিলেন, ঠিক তখনই রাজকুমারে কাজের প্রস্তাব পান। গল্প শোনার পর বেশ ভালোও লাগে। এ কারণে কাজটি করা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষই তো নিজের জন্য কিছু কাজ করে। আমিও তেমনি নিজের জন্য কাজটি করেছি।’
‘অগ্নি’ খ্যাত এ নায়িকা ব্যক্তিজীবনে পুত্রসন্তানের জননী। বাস্তব জীবনের মা হয়ে পর্দায় মায়ের চরিত্রে কাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাস্তবে আমি একজন মা, আমি জানি সন্তানের জন্য মায়ের স্নেহ-ভালোবাসা কতটা গভীর থাকে, সন্তানের জন্য কতটা টান থাকে। সেই বাস্তব অভিজ্ঞতাকেই আমি পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
আলাপচারিতায় ছেলে ফারিশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ সময় নায়িকা জানান, তার সবকিছু এখন একমাত্র ছেলে ফারিশকে কেন্দ্র করে। মাহি বলেন―
‘আমি অনেক ভাগ্যবান যে আমার মা আছে। মা তো আমার থেকেও বেশি টেককেয়ার করে ফারিশের। এ জন্য অবশ্যই আমি লাকি। আর ফারিশকে একটি সুন্দর, পরিপূর্ণ ও বেটার লাইফ কীভাবে উপহার দেয়া যায়, সেটার জন্য সর্বোচ্চ করে যাব আমি। যাতে কখনো ওর কাছে কখনো যেন মনে না হয়, ও শুধু ওর মায়ের ভালোবাসা পেয়েছে। ওর জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর করে দেয়ার জন্য সবসময় চেষ্টা করে যাব আমি।’