বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা। প্রায় প্রতি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে গেছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে গোটা দেশ। কিন্তু মানসম্মত সেবা মিলছে না। ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ, ১৪৮টি দেশের মধ্যে ১১২তম। বিভিন্ন খাতে অনলাইন সেবায় ভোগান্তি চরমে। সাইবার নিরাপত্তার অবস্থাও দুর্বল। এমন পরিস্থিতিতে সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন আইন সংশোধন ও নীতিমালা করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে– টেলিযোগাযোগ আইন, ব্রডব্যান্ড, ওটিটি অবকাঠামো শেয়ারিং ও এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা, স্পেকট্রাম রোডম্যাপ ইত্যাদি।
মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ফাইবার অপটিক্যাল সেবাদাতা এনটিটিএন, বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানসহ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এসব আইন ও নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। খসড়া আইন ও নীতিমালা প্রযুক্তির সুষ্ঠু বিকাশ ও তথ্যের অবাধ প্রবাহে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। কারণ এসব আইন ও নীতিমালার খসড়ায় সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জরিমানা বেড়েছে। ফলে এসব আইন ও নীতিমালার মাধ্যমে প্রযুক্তি ও তথ্যের ওপর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ পোক্ত হবে। এ লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞরা জনবান্ধব ও উদ্যোক্তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী করেই আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে।