রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কখনো মাঝারি, কখনো ভারী বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার অলিগলিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সোমবার সকাল থেকে যানবাহনের গতি মন্থর হয়ে পড়ায় বিভিন্ন রাস্তায় যানজট দেখা দেয়। এর সঙ্গে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়ায় রিকশা-অটোরিকশা থেকে শুরু করে বাস-মিনিবাস, টেম্পো-লেগুনাসহ সব ধরনের যানবাহনের স্বল্পতা এবং সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অপকৌশল। ত্রিমুখী এসব সংকটে নগরবাসীকে দিনভর ভয়াবহ নাকাল হতে হয়।
বিশেষ করে সকালের পিক-আওয়ারে অফিস-আদালত, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মস্থলমুখী মানুষকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ে। এ সময় গণপরিবহণের বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির জন্য বিভিন্ন স্টপেজে অপেক্ষা করতে হয়েছে। সুযোগ বুঝে রিকশা-অটোরিকশা চালকরা অসহায় যাত্রীদের কাছ থেকে ‘গলাকাটা’ ভাড়া আদায় করে। বাড়তি ভাড়া দিতে অসমর্থ অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে কর্মস্থলে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সোমবার সকাল মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখায় নগরবাসীর ভোগান্তি আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে যেসব যাত্রী এই পরিবহণে চড়ে নিয়মিত অফিস-আদালত, কলকারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে যাতায়াত করেন, তারা পড়েছেন মহাবিপাকে।
মেট্রোরেলের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রথমে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল, পরে চালু করে মাঝপথে থেমে থাকা যাত্রীদের নিকটবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়।