রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ায় আগাম নির্বাচন হয়। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনে ছয়জনকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ইরান কর্তৃপক্ষ। পরে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চার প্রার্থী হলেনÑ পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। খবর বিবিসি ও এএফপির। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব বেশি হয়নি। নির্বাচনে সংস্কারপন্থিদের প্রার্থিতা না দেওয়া, বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট এবং ইরানজুড়ে চলা প্রাণঘাতী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের নির্বাচনে ৪৮ শতাংশের কিছু বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল, যা ইরানের কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের প্রেসিডেন্টের ভূমিকা বড় করে দেখা হলেও দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। পররাষ্ট্র বা পারমাণবিক নীতি ও সরকারের বিভিন্ন শাখার নিয়ন্ত্রণ, সামরিক, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন আর্থিক সম্পদের বিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।