বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অমানবিক স্বৈরশাসনে বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় চলছে। ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। এ দেশে শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক, নারী-শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা নাই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্তহত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে কারান্তরীণও করে রাখা হয়েছে। গোটা বাংলাদেশে অমানবিক স্বৈরশাসন চলছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপোসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আজকের এই মানবাধিকার দিবসে আমি খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন নির্দয় আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যুগে যুগে তরুণরাই সমাজের অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আজও মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে মানুষের ন্যূনতম বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির সীমিত সুযোগও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সভা-সমাবেশ তথা প্রতিবাদ করার ন্যূনতম সুযোগও অবশিষ্ট নেই। নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।’