বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি সভায় হট্টগোল হয়েছে। হামলায় নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী নুরুল আমিন বাচ্চুর ডান পা ভেঙে গেছে। তিনি বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি এ হামলার জন্য জন্য জেলা যুব সংহতির সভাপতি শাহীন মোস্তাফা কামাল ফারুক ও তার লোকজনদের দায়ী করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে বনানী এলাকার বগুড়া পর্যটন মোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার বগুড়া পর্যটন মোটেলে জেলা জাপার প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়। জেলা জাপা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমরের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে আব্দুর রশিদ সরকার, মজিবর রহমান সেন্টু, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, শাহজাহান সরদার, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, লুৎফর রহমান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বগুড়ায় সংগঠনে কোনো দ্বন্দ্ব রাখা যাবে না। সংগঠন শক্তিশালী করতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হবে।
জুমার নামাজ থাকায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নেতৃবৃন্দের বক্তব্য বন্ধ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সুযোগ দেন সভার সঞ্চালক জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর। এ সময় সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম হাত উঁচিয়ে সবাইকে বক্তব্য দেবার সুযোগ দিতে বলেন।
তিনি জেলা সভাপতি জিন্নাহ এমপির দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলায় তার এলাকা শিবগঞ্জের নেতাকর্মীরা শফিকুলের দিকে তেড়ে আসেন। তখন সভা বন্ধ হয়ে যায় ও হট্টগোল শুরু হয়। নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এরই মধ্যে জেলা যুব সংহতির সভাপতি ফারুক ও তার লোকজন নন্দীগ্রাম উপজেলা জাপা সভাপতি হাজী নুরুল আমিন বাচ্চুকে মারধর করেন। তিনি মেঝেতে পড়ে গেলে তার পায়ে আঘাত করা হয়।
সভার সমাপনী বক্তব্যে জেলা জাপা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর মাইক নিয়ে যুব সংহতি সভাপতি ফারুক ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে দলীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
আহত জাপা নেতা হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু অভিযোগ করেন, যুব সংহতি নেতা ফারুক তার নির্বাচনী এলাকার। পূর্বের কোনো আক্রোশের কারণে তিনি ও তার লোকজন হামলা করে তার ডান পা ভেঙে দিয়েছেন। তিনি বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পা প্লাস্টার করে বাড়িতে ফিরেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে অবহিত ও সুস্থ হবার পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা যুব সংহতির সভাপতি শাহীন মোস্তাফা কামাল ফারুক বলেন, তিনি নন; জেলা জাপা সভাপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বাচ্চুর পা ভেঙে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর জানান, সময় অভাবে ২৩ সাংগঠনিক কমিটির সবাইকে বক্তব্য দেবার সুযোগ দেয়া যায়নি। এ নিয়ে সভায় হট্টগোল ও বাকবিতণ্ডা হয়। তখন হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন।
নগরকন্ঠ.কম/এআর