বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : ‘বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হওয়ায়’ আগামী ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে যেতে পারেছন না সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের দাওয়াতপত্র বিতরণ করছে ছাত্রলীগ। তবে এই দাওয়াতপত্র পাচ্ছে না দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে বহিস্কৃত সংগঠনটির সাবেক দুই নেতা শোভন ও রব্বানী।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দাওয়াত না দেয়ার বিষয়ে দলের ওপর থেকে নির্দেশনা আছে। এ কারণে এই মুহূর্তে আপাতত তারা দাওয়াত পাচ্ছে না।’
গত ১৩ মে সম্মেলনের এক বছরের মাথায় ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতারা আন্দোলন শুরু করেন। অভিযোগ ওঠে, অর্থের বিনিময়ে যোগ্যদের বাদ দিয়ে মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিবির ও ছাত্রদলের নেতাদের কমিটিতে স্থান দিয়েছে শোভন ও রব্বানী।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সামনে চলে আসে। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, তাদের কাছ থেকে বরাদ্দের ৪ থেকে ৬ শতাংশ নিয়ে ছাত্রলীগকে দেওয়ার দাবি করেছিলেন শোভন ও রব্বানী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি এ অভিযোগও জানান তিনি।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাদের পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ছাত্রলীগের পদ থেকে বাদ পড়লেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে নির্বাচিত জিএস হিসেবে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন গোলাম রাব্বানী।
নগরকন্ঠ.কম/এআর