শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর। চার বছরের শিশু পরশ সাহাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করেছিল অপহরণকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছিল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায়।
এই অপহরণ ও হত্যা মামলায় জড়িত ৫ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ এক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলার কাদিরনগর গ্রামে এহিয়া হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমান (২০), তার ভাই জুয়েল ইসলাম (২৭), কামালউদ্দীনের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (২২), মো. মাহবুবুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবীর সাগর ওরফে বুলেট (২৫) ও ফিরোজ কবীর (২০)। আদালত মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর ৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলার কাদিমনগর গ্রামে বাড়ির কাছে খেলার সময় আসামিরা শিশু পরশকে অপহরণ করে। পরে বাবা কেশব চন্দ্র সাহার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঘোড়াঘাটের কাজিপাড়া কবরস্থানের পাশে আমবাগানে শিশুটিকে নিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করে ফেলে রাখে।
ঘটনার একদিন পর আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিনই পরশের পিতা কেশব সাহা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘোড়ঘাট থানার এসআই রাজু আহমেদ ঘটনার তদন্ত শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিসহ আদালতে ওই ৫ আসামীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আদালতে বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মেহেবুব হাসান লিটন চৌধুরী ও এড. আনিসুর রহমান এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
নগরকন্ঠ.কম/এআর