শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

হাওরে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : হাওরের প্রত্যন্ত গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিদেশে রপ্তানি যোগ্য ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অ্যাডভান্স অ্যাপ, বাংলাদেশ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশার প্রত্যন্ত গ্রাম আহমেদপুরে অ্যাডভান্স অ্যাপ, বাংলাদেশ নামে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পে ৪৮জন আইটি প্রকৌশলী ও প্রোগ্রামার কাজ করছেন। এখান থেকে উৎপাদিত সফটওয়্যারসহ ডিজিটাল পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হবে।

মন্ত্রী প্রত্যন্ত হাওরে একটি সফট্ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা করাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নেত্রকোণা থেকে মোহনগঞ্জ, ধর্মপাশা ও তাহেরপুর হয়ে হাওরের ওপর দিয়ে সাড়ে তের কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে হাওরবাসীর জীবনমান পাল্টে যাবে। তিনি একই সঙ্গে জানান, সিলেট থেকে নেত্রকোণা ট্রেন লাইন স্থাপনের কাজও করা হবে। তৈরি হবে দিরাই থেকে শাল্লা ও আজমিরীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাবার মহাসড়ক।

পরিকল্পনামন্ত্রী হাওরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কর্মসুচি তুলে ধরে বলেন, নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি এবং কিশোরগঞ্জেও বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, হাওর, দ্বীপ ও চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কাউকে বাদ রেখে নয়, উন্নয়নে সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক একটি ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত এগারো বছরে হাওরসহ দেশের পিছিয়ে থাকার জনগোষ্ঠীসহ দেশের রূপচিত্র পাল্টে গেছে। করোনাকালেও মানুষের জীবনযাত্রা থেমে থাকেনি। এটাই হচ্ছে ২০২০সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাড়ে তের কিলোমিটার উড়াল সড়ক চালু হওয়ার পর হাওরবাসির জীবনমান পাল্টে যাবে। যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন ছাড়াও পর্যটকদের কাছে এটি হবে একটি আকর্ষণীয় স্পট। এই অঞ্চলটি মালদ্বীপের চেয়েও আকর্ষণীয় হবে পর্যটকদের কাছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভৈরব ব্রিজ থেকে উত্তরে গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ হাওর এলাকার শতকরা ৯৫ ভাগের বেশী মানুষ বঙ্গবন্ধুকে এবং তার কন্যাকে নিজেদের প্রাণের মতো ভালোবাসে। বঙ্গবন্ধু কন্যাও তাদের ভালোবাসা দিতে ভুলেননি। ২০১৭ সালের বন্যায় হাওরের অসহায় মানুষকে শান্ত্বনা দিতে তিনি খালিয়াজুরী ও শাল্লাসহ হাওরের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে গিয়েছেন। গ্রামের মানুষটির সঙ্গে কথা বলেছেন।

সুব্রতদাস খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অ্যাডভান্স অ্যাপস, বাংলাদেশ এর সিইও শফিউল আলম বিপ্লব আলোচনায় অংশ নেন।

নগরকন্ঠ.কম/এআর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com