শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজারে ডাকাতি রোধে পুলিশ-জনতা যৌথ পাহারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : মৌলভীবাজারে শীত মৌসুমে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ-জনতার যৌথ পাহারার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানান, এই জেলায় শীত এলে ডাকাতদের উপদ্রব বেড়ে যায় বলে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমদের পরিকল্পনায় যৌথ পাহারার এই উদ্যোগ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সারাবছর কাজ করলেও পুলিশকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় শীত মৌসুমে। এই সময়ে জেলায় ডাকাতি বেড়ে যায়। তাই প্রতিরোধে এ বছর একটি বিকল্প উপায় বের করেছেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার।

তিনি জানান, মৌলভীবাজার জেলায় পুলিশের সদস্য সংখ্যা ১১৮২। এর মধ্যে বিভিন্ন স্পেশাল দায়িত্বে এর একটি অংশ ব্যস্ত থাকায় মাত্র ৮শ জন সরাসরি অভিযানে যেতে পারেন। জেলায় জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।

তিনি বলেন, আমাদের জনবল কম কিন্তু এই অজুহাতে ডাকাতি মেনে নেওয়া যায় না। তাই ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ সুপার স্যার জনগণকে পুলিশের সাথে সম্পৃক্ত করে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যেন কোনভাবেই মৌলভীবাজারে ডাকাতি না হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ এই কার্যক্রম রাতভর ঘুরে দেখেন। পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্য ও সাধারণ জনগণকে পুলিশ সুপার উৎসাহ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু নাসের মোহাম্মদ রিকাবদার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পরিমল দেব, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) বদিউজ্জামান।

স্ব স্ব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার যুবক-প্রবীণরাও উপস্থিত ছিলেন।

চাদনীঘাট ইউনিয়নের ছড়াপার এলাকার লিটন মিয়া জানান, তারা নিয়ম করে পুলিশের সাথে পাহারা দেন। তবে পুলিশ ছাড়াও তারা পাহারা দেন। সমস্যা হলে মোবাইল ফোনে পুলিশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তারা এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলে তথ্য জানতে চান। সন্দেহ হলে টহল পুলিশকে খবর দিলে তারা সাথে সাথে আসেন।

একাটুনা ইউনিয়নের ইসমাইল মিয়া জানান, এই উদ্যোগের কারণে ডাকাতরা ডাকাতি করতে পারবে না। যার কারণে আমরা নিরাপদ আছি বলে মনে করছি।

পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, জনবল-যানবাহন সংকট দীর্ঘদিনের। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই সংকট দিনে দিনে কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশ পুলিশ।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জনগণের নিরাপত্তা দেবো। তাই সাধারণ জনগণকে আমরা পুলিশের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা, এই উদ্যোগের সুফল পাবে সাধারণ মানুষ এবং ডাকাতিমুক্ত মৌলভীবাজার হবে।

নগরকন্ঠ.কম/এআর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com