বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

বেসরকারি উদ্যোগে টিকা দিতে নীতিমালা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বেসরকারি উদ্যোগে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি এবং কিভাবে প্রয়োগ হবে তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে। সবকিছু ঠিক থাকলে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ সরকারকে এই টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রতিষ্ঠানটি ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারিভাবেও এই টিকা বিক্রি শুরু করবে বলে সমপ্রতি রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করোনাভাইরাসের টিকা এনে তা দিতে পারবে। নীতিমালার মধ্যে সবকিছু থাকবে। তারা কিভাবে দিবে, কিভাবে হিসাব রাখবে, কি দামে দিবেন- এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেবেন। এটাও ঠিক করে দেওয়া হবে হাসপাতালের মাধ্যমে, কোন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই দেশে ৪-৫ কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগে কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া এসব টিকা রাখার স্টোরেজের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ বা আনসার এর নিরাপত্তায় থাকবে। এটাও বলেছি টিকা যেখানে রাখা হবে সেখানে ফ্রিজটা যেন সঠিকভাবে চালু থাকে। বিদ্যুৎ যেন ঠিকমতো থাকে সেদিকেও নজর রাখা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন দিতে কোনো অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ফাইজারের টিকার জন্য কোভেক্স থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তার জবাব পাঠানো হয়েছে। কোভেক্স থেকে ফাইজারের টিকা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। আমরা সে আবেদন করেছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৪ লাখ লোককে দেওয়ার জন্য ৮ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। তিনি জানান, দেশজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ৭৩৪৪টি দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন টিকাদান কর্মী এবং চার স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ছয়জন সদস্য থাকবেন। একটি দল প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষকে টিকা দিতে পারবে।
সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুটি মনিটরিং সেল তৈরি করা হচ্ছে, যা শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি। ভ্যাকসিন সারাদেশে কি অবস্থায় আছে, কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, তাদের পরার্মশ দেওয়ার কাজ করবে। প্রাইভেট সেক্টরকেও মনিটরিং করবে। বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদেরও টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা টিকা দেব।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com