বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
হঠাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ এখনো জানা যায়নি বলে জানান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার। তিনি জানান, করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ এলাকা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ৩৪ টি ক্যাম্পে বসবাস করে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। করোনা সংক্রমণের শুরুতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংক্রমণের আশংকা করা হলেও এক বছর তা নিয়ন্ত্রণে ছিলো। কিন্তু গত এক সপ্তাহে করোনার হার এক বছরের আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
উখিয়া ও টেকনাফের পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সংক্রমণ রোধে লকডাউন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন,’ক্যাম্প এলাকার মধ্যে জরুরী সেব কার্যক্রমগুলো আপাতত বন্ধ রেখে অন্য সেবা কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। যাতে সংক্রমণ বেড়ে না যায়।’
জানান, রোহিঙ্গাদের অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি,এছাড়া লক্ষণ দেখা দিলে গোপন রাখার প্রবণতা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের করোনার টিকা প্রদানের এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি।
মোহাম্মদ শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও বলেন,’সচেতনতার অভাবে যারা টেষ্ট করতে আতে চায় না তাদেরকে সরবরাহ করছি মাস্ক। বিশ্বস্বাস্থ্য সাংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা প্রাথমিক কাজগুলো করে রেখেছি কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত পাইনি।’
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০শে মে পর্যন্ত কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৮ জন। মারা গেছেন ১৩ জন রোহিঙ্গা। চলতি বছরের মে মাসের আগে কক্সবাজারে আক্রান্তের হার ছিল ১০ শতাংশ। বর্তমানে তা ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।