শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যে পোস্টে লেখা রয়েছে- পেঁয়াজের গায়ে যে কালো রঙের ছত্রাক তৈরি হয়, তা নাকি অত্যন্ত বিষাক্ত! এবং তা থেকেই ছড়াতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। পোস্টে এও লেখা রয়েছে যে, যদি এই ধরণের পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা হয়, তাহলে এই কালো ছত্রাক ছেয়ে যাবে ফ্রিজের গায়েও। এবং তা ছড়িয়ে পড়বে বাকি খাবারের মধ্যে। শুরুতে এই পোস্ট লেখা হয়েছিল হিন্দি ভাষায়। তারপর পোস্টটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আরও নানা ভাষায়।
পোস্টটি আদতে ভুয়া। পেঁয়াজের গায়ে যে কালো ছত্রাক সাধারণত দেখা যায়, তার নাম অ্যাস্পারজিলাস নাইজার। মাটিতে পাওয়া যায় এই ছত্রাক। কিন্তু এটা বা ফ্রিজের ছত্রাক— কোনওটাই মিউকরমাইকোসিসের কারণ নয়।
ফ্রিজ মূলত বহুদিন পরিষ্কার না করলে বা না খুললে কালো ছত্রাক তৈরি হয়। সেগুলো তৈরি হয় মূলত ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্টের জন্য। তা থেকে শাক-সবজি-পাউরুটি-চিজের মতো খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হবে না।
এর আগেও এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, মিউকরমাইকোসিস আদতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নয়। নাকের ওপর কালচে ছোপ বা দাগ হওয়ায় মূলত এই নাম দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রমণের কারণে অনেক সময় মুখের এক অংশ ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তা থেকেও অনেকের মনে হতে পারে, জায়গাটা কালো হয়ে যাচ্ছে।
পেঁয়াজের গায়ে যে কালো ছত্রাক তৈরি হয়, তা থেকে মিউকরমাইকোসিস শুধু নয়, কোনও রকমই সংক্রমণ মানুষের শরীরে সাধারণত হয় না। তবে পেঁয়াজ কাটার আগে অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে নেওয়া উচিত- এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন,‘মিউকরমাইকোসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই। অথচ ঘটনাচক্রে, রোগটি এই নামেই আম-জনতার কাছে অনেক বেশি পরিচিত। সেই কারণেই সাধারণভাবে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামটি ‘মিউকরমাইকোসিস’-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। এটা আসলে অজ্ঞানতাবশত নয়। সূত্র- আনন্দবাজার।