শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় আক্রান্তদের ৬৮ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: আইসিডিডিআরবি

আইসিডিডিআরবি’র মিডিয়া ম্যানেজার একেএম তারিফুল ইসলাম খান বলেছেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে গবেষণা চালানো হয়।

এ সময়ে ঢাকার বাসিন্দা করোনাইরাস আক্রান্ত ৬০ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের পর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে সংস্থাটি এই তথ্য পেয়েছে।

তারিফুল ইসলাম বলেন, “সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা গেছে এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, ২২ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট এবং বাকি নমুনাগুলো বড় অংশটি উহান ভ্যারিয়েন্ট ছিল।”

এটি প্রথম ভারতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে যুক্তরাজ্যে এখন ৯০ শতাংশ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ধরণ। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআর এ মাসের শুরুতে জানায় যে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি চিহ্নিত করা গেছে।

আইইডিসিআর জুন মাসের চার তারিখে জানায়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে।

সংস্থাটি সে সময় জানিয়েছিল যে, গত ১৬ই মে’র পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনাভাইরাসের ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পর ফলাফল হিসেবে দেখা গেছে নমুনার ৮০ শতাংশের মধ্যেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উপস্থিত ছিল।

এদিকে, বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, জুনের চার তারিখের আগ পর্যন্ত সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ১৭ই জুন সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

ইতিমধ্যে দেশের সীমান্ত এলাকার ১৫টি জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ক্রমে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মনে করেন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ভূমিকা রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com