শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখী মানুষের অতিরিক্ত চাপ পড়েছে ঘাট এলাকায়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জনস্রোতে পরিণত হয় পাটুরিয়া ঘাটে। এসময় যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ সামাল দিতে কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিউটি’র সাথে সমন্বয় করে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে বিরামহীন কাজ করছে পুলিশ। যানবাহনের সিরিয়াল মোতাবেক ফেরিতে ওঠার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যও বিভিন্ন ঘাটে রয়েছে পুলিশ।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, রাত পোহালেই ঈদ। এ কারণে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ পরেছে। এ কারণে মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায় যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় তার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিরিয়াল ভঙ্গ করে কোনো গাড়ি আগে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফেরিতে আগে গাড়ি পার করতে কোনো ভিআইপি বা রিকোয়েষ্ট শোনা হচ্ছে না। যে আগে আসবে তার সিরিয়াল আগে দেওয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিটিসির সাথে সম্বয়ন করে দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে দ্রুত খালি ফেরি নিয়ে এসে যানবাহন ও যাত্রী পারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাটুরিয়া ঘাটে আজ সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নামে। ঘাট এলাকা থেকে নবগ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সাড়ির সৃষ্টি হয়। এছাড়া পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত ছোট গাড়ি। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে তিন-চার কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে পৌঁছাচ্ছে। যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে মহাসড়ক ও ঘাটে ছুটছে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা। বিরামহীনভাবে ফেরিঘাট থেকে লঞ্চঘাট আবার সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পুলিশের এমন ভূমিকার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন ওই কর্মকর্তা।
কয়েকজন পুলিশ সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, একজন নারী অফিসার হয়ে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করা অনেক কঠিন বিষয়। তারপরও তার দায়িত্বে অবহেলা বা ক্লান্তি নাই। স্যারের মাধ্যমেই পাটুরিয়া দূরপাল্লা এসি গাড়ির কথিত ভিআইপি সিস্টেম বাতিল করেন। সিরিয়ালে মোতাবেক সব যানবাহন পার করা হয় এখন।