শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি আচরণবিধি মানলে সহিংসতা ঠেকানোর সম্ভব : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি আচরণবিধি সঠিকভাবে মেনে চললে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানোর একমাত্র উপায়, যারা নির্বাচনে অংশ নেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের সহনশীলতা এবং আচরণবিধি মেনে চলা।’
আজ সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৮৯তম কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
নির্বাচনে মৃত্যু ও সহিংসতা সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘আমরা পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছি। যার যার দায়িত্ব সে সে পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজান্তে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের অনুপস্থিতিতে এটা ঘটে যায়। এটা এত বড় একটা নির্বাচন, যেখানে হাজার হাজার, লাখ লাখ লোক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমেই বলেছি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার একমাত্র উপায় হলো যারা ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন তাদের সহনশীলতা। সুতরাং এটার দায়দায়িত্ব প্রশাসনের অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অথবা নির্বাচন কমিশনকে এককভাবে দেয়া যায় না। এরাই দায়ী এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘অনেক ঘটনা একেবারে এলাকাভিত্তিক ঘটেছে। কাজী বংশ, খান বংশ, চৌধুরী বংশ, তালুকদার বংশ এরকম হয়। রাস্তার এপার ওপার এরকম হয়। এছাড়া দলীয় কোন্দলে হয়, পূর্বশত্রুতার কারণে হয়। কতগুলো ঘটনার বিশ্লেষণ করে দেখেছি, তারা প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনাগুলো ঘটেছে। এসবের দায়দায়িত্ব এখন কাকে দেবো। আমার তো মনে হয় যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাদের যদি সহনশীল ভূমিকা থাকে তাহলে আমাদের এত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকের দরকার হয় না। আমাদের এত তৎপরতার দরকার হয় না।’
তিনি বলেন, এজাতীয় ঘটনা পাহারা দিয়ে ঠেকানো যায় না। বাস্তবতা হলো এটাই।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com